পুলিশ সপ্তাহ শুরু আজ

- আপডেট সময় : ১২:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ সপ্তাহ- ২০২৫ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল)। তিন দিনব্যাপী এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য- ‘আমার পুলিশ আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি কৃতি পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেবেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সপ্তাহ ঘিরে বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিটের প্রেজেন্টেশনে নিজ নিজ ইউনিটের চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়াও জনমনে আস্থা ফেরাতে জনবান্ধব পুলিশ হতে লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো, গবেষণা বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে পুলিশ অডিটোরিয়ামে এসবি, সকাল সোয়া ৯টায় সিআইডি, সকাল ১০টায় র্যাবের প্রেজেন্টেশন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের বৈঠক, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।
পরদিন ১ মে আইজির ব্যাজ প্রদান ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলন এবং বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অফিসার্স মেসের বার্ষিক সাধারণ সভা, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর ২ মে বার্ষিক পুনাক সমাবেশ ও আনন্দ মেলা এবং পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির স্টলের পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারের পুলিশ সপ্তাহে পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করে জনসাধারণের জন্য কমপ্লেইন সেল গঠনের দাবি জানানো হবে। এ ছাড়া পুলিশের জন্য অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভাতা, স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠনসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হবে।
উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আইন বাতিল, গ্রেড-১ কর্মকর্তার সংখ্যা বৃদ্ধি, ডিআইজির পদ সম্প্রসারণ, সুপারনিউমারারি পদ বৃদ্ধি, আরও পুলিশ অফিসার নিয়োগ, সকল সদস্যের জন্য বিশেষ ভাতা প্রবর্তন, পুলিশের জন্য একটি পৃথক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি বিমান ইউনিট চালু করা, আধুনিক অস্ত্র ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবাসন সংকট সমাধানের মতো দাবিগুলি উত্থাপিত হয়েছিল।
যারা পদক পাচ্ছেন:
বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) এবং পিপিএমের (প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল) জন্য ৬২ জন কর্মকর্তা প্রাথমিক নির্বাচন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। তালিকায় রয়েছেন সাবেক আইজিপি মইনুল ইসলাম, র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহীদুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ, মোঃ আকরাম হোসেন, খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, ছিবগাত উল্লাহ ও মাইনুল হাসান, ডিআইজি সরদার নুরুল আমিন ও কাজী মোঃ ফজলুল করিম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আহসান হাবিব পলাশ, সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ, জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূইয়া, অতিরিক্ত ডিআইজি আহমেদ মুঈদ ও এনায়েত হোসেন মান্নান, খাগড়াছড়ির এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল, ঢাকার মোঃ আনিসুজ্জামান, মাগুরার মিনা মাহমুদ, চট্টগ্রামের সাইফুল ইসলাম শান্তু, পিবিআইয়ের কুদরত-ই-খুদা, ৮ এপিবিএনের এসপি খন্দকার ফজলে রাব্বি, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার রওনক আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম, এম, মোহাইমেনুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল, নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জুয়েল রানা, ডিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার এম জে সোহেল, দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস, এপিবিএন উত্তরার পুলিশ পরিদর্শক গাজী গোলাম কিবরিয়া, পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্সপেক্টর আবদুর রাজ্জাক আকন্দ, সিএমপির ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ফজলুল কাদের চৌধুরী, কেএমপির ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম, আশুলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু, আলমডাঙ্গার ওসি মুঃ মাসুদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ পরিদর্শক মো. একরামুল হোসাইন, কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তফা কামাল, পাবনা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই শ্রী বেনু রায়, গাজীপুর জেলা পিবিআইয়ের এসআই সুমন মিয়া, গোদাগাড়ী মডেল থানা এসআই বরুন কুমার সরকার, কুমিল্লা জেলা পিবিআইর এসআই ফিরোজ আহাম্মদ, হবিগঞ্জ জেলার এসআই মাহমুদুল হাসান, মির্জাগঞ্জ থানার এসআই এনামুল হক, সিএমপির সোয়াট টিম কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের এসআই রাছিব খান, পুলিশ সদর দপ্তরের এসআই রকিবুল হাসান, ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের এসআই ইমরান আহমেদ, সিরাজগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের এসআই মো. আশিকুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ইয়াসিন, খাগড়াছড়ি থানার এসআই আজিমুল হক, ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চে এএসআই কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল নিযুক্ত এএসআই নাজমুল হুসাইন, ভাটারা থানা এএসআই মেসবাহ উদ্দিন, র্যাব-১৫ এর হাবিলদার মো. সাইফুল ইসলাম, সচিবালয় নিরাপত্তা বিভাগের কনস্টেবল মো. রুহুল আমিন ভূঞা, ঢাকা এটিইউর কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, পুলিশ সদর দপ্তরের কনস্টেবল মোহাম্মদ জোনাইদুল হক, ডিএমপির পরিবহন বিভাগের কনস্টেবল মোবারক হোসেন ও ডিএমপির পিওএম-পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন।