ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা

স্বৈরাচারী শাসনামলে পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বৈরাচারী শাসনামলের ১৫ বছরে দেশের পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করায় সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ড. ইউনূস বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে দেশে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা অনেক। নির্বাচনে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ ও ভোটাররা যেন নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মনে রাখবেন, কোনো ব্যক্তি যদি অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, সেই ব্যক্তির দ্বারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুতরাং কারও দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্রত হিসেবে নির্বাচনে নিজেদের নিয়োজিত করবেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কখনই যেন পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনী বা অন্যায় কাজে ব্যবহার না করা যায় সেজন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচনের আগের এই সময়টা অনেক কঠিন। আপনাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমরা একটা যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ চক্র আমাদের স্বপ্নকে, আমাদের ঐক্যকে ভেঙে দিতে সব শক্তি নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে। একে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা অনেক ন্যায্য, অন্যায্য আন্দোলনে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখেছি। এসব পরিস্থিতিতে আপনারা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি একই রকম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আগামী দিনগুলোতেও আপনারা কাজ করে যাবেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারের অবৈধ অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী ব্যাপকভাবে জনরোষের মুখে পড়ে। অনেক সৎ পুলিশ সদস্যদেরও এজন্য মাশুল দিতে হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, সর্বস্তরের মানুষের অধিকার, মর্যাদা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে কোনো বৈষম্য থাকবে না যুগ যুগ ধরে এটি ছিল মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে জোর ভূমিকা রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

পুলিশ সপ্তাহে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব গ্রহণ করে সে সময় এ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। সরকার পরিস্থিতি উন্নতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সড়ক মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ নিরসন, বিশেষ অভিযান পরিচালনা অংশীজনদের সঙ্গে পুলিশের আন্ত যোগাযোগ জোরদার করা, পুলিশ সদস্যদের মনোবলবৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে, পুলিশ এই স্বপ্ন পূরণের মূল শক্তি। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্বৈরাচার আমলে পুলিশ জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল তা কমিয়ে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, মানুষ ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলা, যাতে মানুষ পুলিশকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।’

তিনি আরও বলেন, নায্যতার ভিত্তিতে গঠিত বৈষম্যমুক্ত দেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি। আমরা দ্বিতীয় বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি, জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগ যেন আমরা না হারাই। এবার ব্যর্থ হলে ভবিষ্যৎ প্রজম্মের কাছে চিরজীবনের জন্য দায়ী থাকবো।

আপনাদের অত্যন্ত পরিশ্রমে ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা বিশ্ব ইজতেমা ও ঈদুল ফিতর বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে যতগুলো অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে সবগুলো ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়েছে।

এজন্য পুলিশসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এ সময় নিজে হাততালি দিয়ে বলেন, এই হাততালি আপনাদের প্রাপ্য।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, পুলিশ সপ্তাহ ঘিরে বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিটের প্রেজেন্টেশনে নিজ নিজ ইউনিটের চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া জনমনে আস্থা ফেরাতে জনবান্ধব পুলিশ হতে লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো, গবেষণা বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে পুলিশ অডিটরিয়ামে এসবি, সকাল সোয়া ৯টায় সিআইডি, সকাল ১০টায় র‌্যাবের প্রেজেন্টেশন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের বৈঠক, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।

পরদিন ১ মে আইজি’র ব্যাজ প্রদান ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলন এবং বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অফিসার্স মেসের বার্ষিক সাধারণ সভা, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর ২ মে বার্ষিক বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সমাবেশ ও আনন্দ মেলা এবং স্টলের পুরস্কার প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা

স্বৈরাচারী শাসনামলে পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল

আপডেট সময় : ০১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

স্বৈরাচারী শাসনামলের ১৫ বছরে দেশের পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করায় সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ড. ইউনূস বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে দেশে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা অনেক। নির্বাচনে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ ও ভোটাররা যেন নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মনে রাখবেন, কোনো ব্যক্তি যদি অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, সেই ব্যক্তির দ্বারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুতরাং কারও দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্রত হিসেবে নির্বাচনে নিজেদের নিয়োজিত করবেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কখনই যেন পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনী বা অন্যায় কাজে ব্যবহার না করা যায় সেজন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচনের আগের এই সময়টা অনেক কঠিন। আপনাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমরা একটা যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ চক্র আমাদের স্বপ্নকে, আমাদের ঐক্যকে ভেঙে দিতে সব শক্তি নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে। একে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা অনেক ন্যায্য, অন্যায্য আন্দোলনে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখেছি। এসব পরিস্থিতিতে আপনারা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি একই রকম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আগামী দিনগুলোতেও আপনারা কাজ করে যাবেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারের অবৈধ অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী ব্যাপকভাবে জনরোষের মুখে পড়ে। অনেক সৎ পুলিশ সদস্যদেরও এজন্য মাশুল দিতে হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, সর্বস্তরের মানুষের অধিকার, মর্যাদা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে কোনো বৈষম্য থাকবে না যুগ যুগ ধরে এটি ছিল মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে জোর ভূমিকা রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

পুলিশ সপ্তাহে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব গ্রহণ করে সে সময় এ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। সরকার পরিস্থিতি উন্নতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সড়ক মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ নিরসন, বিশেষ অভিযান পরিচালনা অংশীজনদের সঙ্গে পুলিশের আন্ত যোগাযোগ জোরদার করা, পুলিশ সদস্যদের মনোবলবৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে, পুলিশ এই স্বপ্ন পূরণের মূল শক্তি। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্বৈরাচার আমলে পুলিশ জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল তা কমিয়ে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, মানুষ ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলা, যাতে মানুষ পুলিশকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।’

তিনি আরও বলেন, নায্যতার ভিত্তিতে গঠিত বৈষম্যমুক্ত দেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি। আমরা দ্বিতীয় বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি, জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগ যেন আমরা না হারাই। এবার ব্যর্থ হলে ভবিষ্যৎ প্রজম্মের কাছে চিরজীবনের জন্য দায়ী থাকবো।

আপনাদের অত্যন্ত পরিশ্রমে ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা বিশ্ব ইজতেমা ও ঈদুল ফিতর বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে যতগুলো অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে সবগুলো ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়েছে।

এজন্য পুলিশসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এ সময় নিজে হাততালি দিয়ে বলেন, এই হাততালি আপনাদের প্রাপ্য।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, পুলিশ সপ্তাহ ঘিরে বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিটের প্রেজেন্টেশনে নিজ নিজ ইউনিটের চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া জনমনে আস্থা ফেরাতে জনবান্ধব পুলিশ হতে লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো, গবেষণা বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে পুলিশ অডিটরিয়ামে এসবি, সকাল সোয়া ৯টায় সিআইডি, সকাল ১০টায় র‌্যাবের প্রেজেন্টেশন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের বৈঠক, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।

পরদিন ১ মে আইজি’র ব্যাজ প্রদান ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলন এবং বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অফিসার্স মেসের বার্ষিক সাধারণ সভা, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর ২ মে বার্ষিক বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সমাবেশ ও আনন্দ মেলা এবং স্টলের পুরস্কার প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।