অন্ধকারে ঢেকে গেল ইউরোপের তিন দেশ

- আপডেট সময় : ১২:২২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪০০ বার পড়া হয়েছে

স্পেন, ফ্রান্স এবং পর্তুগালে সোমবার ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইউরোপীয় বৈদ্যুতিক গ্রিডে সমস্যার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। তেমনই জানিয়েছে ইউরো নিউজ। পর্তুগালের সরকারি সূত্র দেশীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, একই ধরনের খবর স্পেন আর ফ্রান্স থেকেও পাওয়া গেছে। মাদ্রিদের বারাজাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়। অঞ্চলের অন্যান্য বিমানবন্দরও কার্যত কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ব্যহত হয়েছে উড়ান পরিষেবাও।
স্পেন ও পর্তুগালের রাজধানীতে মেট্রো ট্রেন স্টেশনের মাঝে আটকে যাওয়ায় অনেক যাত্রী আটকা পড়েন, ইউরোনিউজ পর্তুগাল জানিয়েছে। স্পেনীয় সরকার মনক্লোয়ায় জরুরি অধিবেশন ডেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউরোনিউজ স্পেন জানিয়েছে। অ্যান্ডোরা এবং স্পেনের সীমান্তবর্তী ফ্রান্সের কিছু অঞ্চলের নাগরিকরাও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর জানিয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বেলজিয়াম পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। পর্তুগাল সরকার জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকও ডেকেছে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য। আইবেরিয়ান উপদ্বীপ জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা ফ্রান্সের কিছু অংশেও প্রভাব ফেলেছে, অন্যদিকে স্প্যানিশ গ্রিড অপারেটর রেড ইলেকট্রিকা জানিয়েছে যে তারা বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের জন্য আঞ্চলিক শক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দেশীয় সংবাদমাধ্যম ইউরোপীয় বৈদ্যুতিক গ্রিডে সমস্যার খবর জানিয়েছে, যা আইবেরিয়ান উপদ্বীপের জাতীয় গ্রিডগুলিকে প্রভাবিত করেছে, ইউরো নিউজ জানিয়েছে। তবে, ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে আলারিক পর্বতে একটি অগ্নিকাণ্ডের ফলে পের্পিগনান এবং পূর্ব নারবোনের মধ্যে একটি উচ্চ-ভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হওয়াকেও সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে মাদ্রিদের রাস্তা অন্ধকারের মধ্যেই প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অফিসে পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। যানচলচলও প্রায় ব্যাহত হয়েছে। মাদ্রিদের চারটি টাওয়ারের মধ্যে একটি পুরোপুরি খালি করা হয়েছে। পর্তুগালের ট্রাফিক ব্যবস্থা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ট্রেন চলাচল পুরোপুরি ব্যহত হয়েছে। কারেন্ট না থাকার কারণে সাবওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্তুগালে ইতিমধ্যেই ৪৬টি বিমানের সময়সীমা বদল করা হয়েছে।