‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’
শেখ হাসিনার বক্তব্য বিচারকে বাধাগ্রস্ত করছে কি না, ব্যাখ্যা চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল

- আপডেট সময় : ০৩:১০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে

‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’— শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য আদালতের জন্য হুমকি কি না, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৫ মের মধ্যে এ ব্যাখ্যা দিতে সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে শেখ হাসিনার বিচার কাজ শুরু হওয়ার কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুলের সঙ্গে ফোনালাপ করেন। এ সময় টেলিফোনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৬টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পাওয়া গেছে।’
এ ছাড়া বিএনপির ঘর বাড়ি ভাঙচুর নিয়েও কথা বলেন তিনি। এই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরই গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রায় পাঁচ মাস পর ওই ফোনালাপে ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স’ পাওয়ার বক্তব্য যে শেখ হাসিনারই, তা সিআইডির ফরেনসিক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
আজ (বুধবার, ৩০ এপ্রিল) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি জানানো হয়। একইসঙ্গে অভিযোগ আনা হয় হুমকি ও বিচারকাজে বাধা দেয়ার। এ বিষয়ে শুনানি করে ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ মের মধ্যে শেখ হাসিনার কাছে এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে জুলাই আগস্টের আন্দোলনে আবুল হাসান খানকে হত্যার অভিযোগে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
একইসঙ্গে আশুলিয়া থানায় ৬জনের মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশের এস আই আরাফাত উদ্দিন ও কামরুল হাসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া স্বামীর অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি চেয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। তার আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে বলা হয়েছে।