ভয়াবহ দাবানলের থাবায় দিশেহারা নেতানিয়াহু প্রশাসন

- আপডেট সময় : ১১:২৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

ইসরাইলের দখলকৃত জেরুজালেম থেকে তেলআবিব পর্যন্ত ভয়াবহ দাবানলের থাবায় দিশেহারা নেতানিয়াহু প্রশাসন। আগুন নেভাতে গ্রীস, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি এবং সাইপ্রাসের সাহায্য চাইলো ইসরাইল। সরিয়ে নেয়া হচ্ছে রাস্তায় আটকে পড়া মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। জরুরি অবস্থা জারি।
ভয়াবহ দাবানলের আগুনে দাউ দাউ করে পুড়ছে ইসরাইল। আগুনের লেলিহান শিখার কাছে অসহায় হয়ে দিগ্বিদিক ছুটছে মানুষ। রাস্তায় গাড়ি রেখে দৌড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক ইসরাইলি। পুড়েও গেছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। ধোঁয়ায় কালো হয়ে গেছে চারপাশ।
দাবানলের এ তাণ্ডবে ইসরাইলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব থেকে জেরুজালেম যাওয়া প্রধান মহাসড়কেও ছড়িয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার দাবানলের হানায় টালমাটাল ইসরাইল। জেরুজালেম ও তেল আবিবের বিভিন্ন সড়ক ও বাড়ি-ঘর থেকে বিপদগ্রস্তদের উদ্ধারে চলছে তৎপরতা। ধোয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।
প্রচণ্ড তাপ এবং বাতাসের কারণে জেরুজালেম থেকে ছড়িয়ে পড়ে দাবানল। দমকল বাহিনী ছাড়াও বিমান এবং হেলিকপ্টার দিয়েও আগুন নেভাতে পারছে না ইসরাইল। এ অবস্থায় বিমান বাহিনী এবং আইডিএফ ইউনিটসহ ইসরাইলি পুলিশদের দমকল বাহিনীকে সব দিক দিয়ে সহায়তার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি দেশের কাছে। জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থাও।
বোমা-বুলেটের আঘাতে গাজায় নির্মম হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিচার করতেই যেন ইসরাইলিদের উপর গজব নাজিল করলেন মহান রব। দাবানলের তাণ্ডব দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বিধাতার কাছে কতটা ভয়াবহ হতে পারে বর্বরতার বিচার। জ্বলন্ত দাবানলে ইসরাইলিদের অসহায়ত্বের দৃশ্য দেখার পর এমনটাই মনে করছেন অনেক নেটিজেন।
এমনকি দাবানলের এ থাবা এমন এক সময় বসলো, যখন কথিত স্বাধীনতা দিবস পালনে বুধবার থেকে প্রস্তুত হচ্ছিলো ইসরাইলিরা। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে সেই ভূখণ্ডকে নিজেদের রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে ইসরাইল।
এতো বছর পরও তাদের দখলদারিত্ব থামেনি। এবার দাবানলের হানায় ইসরাইলিদের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস ভাটা পড়লো। বারবিকিউ পার্টিসহ অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।