টানা অষ্টম দিনের মতো ভারত–পাকিস্তানের গোলাগুলি

- আপডেট সময় : ১২:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

বন্দুক হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর কাশ্মীর সীমান্তে প্রতি রাতেই চলছে ভারত ও পাকিস্তানের গোলাগুলি। বৃহস্পতিবার টানা অষ্টম দিনের মতো গুলি ছুড়েছে দু পক্ষই। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদন বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। জবাব দিয়েছেন ভারতীয় সেনারাও।
এনডিটিভি লিখেছে, জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, পুঞ্চ, নওশেরা এবং আখনুর এলাকার বিপরীত পোস্ট থেকে ছোট অস্ত্রের মাধ্যমে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে গুলিবর্ষণের জবাব দেয়।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর প্রতিবেশী দু দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা এবং পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের মধ্যে এই গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
প্রতিবেদন বলছে, ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পর ২৪ এপ্রিল রাত থেকে পাকিস্তানি সেনারা জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ জম্মু জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পারগওয়াল সেক্টর পর্যন্ত গুলি ছোড়ার সীমা বাড়ায়।
একই দিনে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) হটলাইনে কথা বলেন। ডিজিএমওর আলোচনার সাথে পরিচিত ব্যক্তিরা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বিনা উসকানিতে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, পেহেলগাম হামলার একদিন পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়। যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা, আট্টারিতে একমাত্র স্থল সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা এবং আক্রমণের সাথে সীমান্তের আন্তঃসীমান্ত সংযোগের কারণে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করা।
প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং তৃতীয় দেশগুলোর মাধ্যমে ভারতের সাথে সমস্ত বাণিজ্য স্থগিত করেছে। পাকিস্তান ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, জল প্রবাহ বন্ধ করার যেকোনো পদক্ষেপকে যুদ্ধের পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে।