‘নিবন্ধন বাতিল করে আ. লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে’

- আপডেট সময় : ০৩:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শুক্রবার (২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যে আলোচনা নিয়ে রাজনীতি সামনে আগাচ্ছে, সেটা হলো: সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার। এর কোনোটিই একে অন্যের বিরোধী নয়, বরং এ তিনটির মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রূপান্তর হওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ৫ই আগস্টে বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি রায় দিয়েছে যে, তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। ফলে জনগণই আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপায় হচ্ছে, একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, একটি গণ অভ্যুত্থান দেশে হয়েছে, সেখানে এ দেশের জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। জনরোষে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এরপরে আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না এ আলোচনা আসতে পারে না। তারা রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। এখন তার আইনি বন্দোবস্ত কি হবে, কোন প্রক্রিয়ায় তাদের রাজনীতি থেকে বের করবো। অতএব আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল অতি দ্রুত করা উচিত এবং তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের কথা সব রাজনৈতিক দলই বলছে। একটি মৌলিক সংস্কারের জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। তা পরিবর্তন না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে না।
নাহিদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সবসময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাহিরেও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা অর্জন করা। তা নাহলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের যে চেষ্টা তা সম্ভব হবে না।