সীমান্তে বেড়েছে হত্যা, স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার পরামর্শ

- আপডেট সময় : ০১:২৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেড়েছে সীমান্ত হত্যার ঘটনা। গেল ৩ মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলায় বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে হতাহত অন্তত ৩ জন। এতে আতঙ্ক বেড়েছে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামে। যদিও, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন ও মাদক চোরাচালানের কারণেই ঘটছে এমন ঘটনা। এ অবস্থায় স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিজিবির।
আখাউড়ার সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম সেনারবাদী। দিনের আলো জনজীবনের কর্মব্যস্ততা স্বাভাবিক থাকলেও রাত হলেই বাড়ে আতঙ্ক। চোরাকারবারি ধরার অজুহাতে সীমানা পার হয়ে বাংলাদেশিদের হয়রানি করে বিএসএফ সদস্যরা। ছোঁড়ে ফাঁকা গুলিও।
গেল ৮ এপ্রিল বিজয়নগরের সেজামুড়া সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে মুরাদুর রহমান নামে এক কৃষক নিহত হয়। পরিবারের দাবি, সীমান্তবর্তী ফসলি জমিতে কাজ করার সময় তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে বিএসএফ।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই সীমান্তে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বিএসএফ।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের দেড়শ’ গজের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি নিজেদের জমিতে চাষ করেন। ফলে শূন্য রেখায় তাদের আনাগোনা থাকে। জমিতে ধান পাকলেও ভয়ে ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছে না চাষিরা। আর মিললেও গুণতে হচ্ছে কয়েক গুণ বাড়তি মজুরি।
তবে বিজিবির দাবি, সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের অসচেতনতা ও চোরাকারবারের কারণে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ঘটছে। যদিও এটি বন্ধে বিএসএফকে কঠোর বার্তা দেয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
আর সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামাতে আগে মাদক চোরাচালান বন্ধ করা প্রয়োজন জানিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
গেল ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলায় বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ২ জন। আহত হয়েছেন আরও একজন। আখাউড়া, কসবা ও বিজয়নগরের সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢুকছে মাদকসহ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য।