ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘হেফাজতের সমাবেশে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (৫ মে) বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

পোস্টে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার লেখেন, ‘যতবার আমি হেফাজতে ইসলামকে কোনো বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখি, ততবার আমার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য শাপলা চত্বরের গণহত্যা নিয়ে করা তদন্তের কথা মনে পড়ে। যখন সারা বিশ্ব সেই গণহত্যার মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল, তখন আমি ঢাকাতে বিবিসির প্রাক্তন সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে সেই কঠিন কাজটি হাতে নিয়েছিলাম। আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম যে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘দুই সপ্তাহব্যাপী তদন্তের সময়, রাস্তাঘাট চষে বেড়ানো, হাসপাতালের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা এবং দাফনের প্রমাণ সংগ্রহ করা, মানুষকে মুখ খুলতে রাজি করানোর চেষ্টা করার সময়, আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভীত ছিলাম।’

নিরাপত্তার কারণে তিনি আগে কখনো তার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারেননি বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘কিন্তু যখনই দেখি, কোনো সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিকারের আনন্দ দেয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

‘হেফাজতের সমাবেশে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়’

আপডেট সময় : ০১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (৫ মে) বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

পোস্টে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার লেখেন, ‘যতবার আমি হেফাজতে ইসলামকে কোনো বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখি, ততবার আমার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য শাপলা চত্বরের গণহত্যা নিয়ে করা তদন্তের কথা মনে পড়ে। যখন সারা বিশ্ব সেই গণহত্যার মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল, তখন আমি ঢাকাতে বিবিসির প্রাক্তন সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে সেই কঠিন কাজটি হাতে নিয়েছিলাম। আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম যে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘দুই সপ্তাহব্যাপী তদন্তের সময়, রাস্তাঘাট চষে বেড়ানো, হাসপাতালের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা এবং দাফনের প্রমাণ সংগ্রহ করা, মানুষকে মুখ খুলতে রাজি করানোর চেষ্টা করার সময়, আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভীত ছিলাম।’

নিরাপত্তার কারণে তিনি আগে কখনো তার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারেননি বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘কিন্তু যখনই দেখি, কোনো সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিকারের আনন্দ দেয়।’