গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ অনেক কমে গেছে: নাহিদ ইসলাম

- আপডেট সময় : ১০:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

গণমাধ্যমের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
রোববার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার বিষয় সব সময়ই ছিল, তা আমার উপদেষ্টা থাকাকালীন সময়েও ছিল। তবে এখনকার বাস্তবতায় বলতে পারি, আগের তুলনায় সরকারি হস্তক্ষেপ কিছুটা কমেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছরে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেছে, গণমাধ্যমও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “মিডিয়াকে যদি আমরা ফ্যাসিজমের সেই আধিপত্য থেকে মুক্ত করতে না পারি, তাহলে মুক্ত গণমাধ্যমের যে ধারণা আমরা জুলাইয়ের পর সামনে আনতে চাইছি, তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।”
তিনি আরও বলেন, একটি স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার জন্য সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন, যা নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় আলোচনার কেন্দ্রে আসা উচিত।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন ভুল তথ্য প্রকাশিত হতে দেখেছি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোকে আরও পেশাদারিত্ব দেখানো প্রয়োজন। কারণ, দল বা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এর ভিকটিম আমরা হয়েছি। আমাদের কথা নানা সময়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও ইতিবাচক হবে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই দেরি হচ্ছে। এই সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত। তাহলেই আমরা বলতে পারবো, জুলাই পরবর্তী যে গণমাধ্যম আমরা চেয়েছিলাম, তা দৃশ্যমান হচ্ছে।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, গণমাধ্যমের মালিকানার বিষয়টি আরও সুস্পষ্ট হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ, অনেক কর্পোরেট মালিক বা একটি গোষ্ঠী গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে। ফলে, তাতে গণমানুষের কথা না উঠে বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ধারণ করে। তাই কর্পোরেট মালিকানায় কতগুলো গণমাধ্যম থাকতে পারবে, তা নিয়ে আমাদের সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।