ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১৭ বছর পর ফিরছেন জোবাইদা রহমান, প্রস্তুত ‘মাহবুব ভবন’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন। তাকে স্বাগত জানাতে তার বাবার ধানমন্ডির বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’কে সাজানো হয়েছে নতুনভাবে।

ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত এই ভবনটি ছিল জোবাইদার বাবা, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসা। বর্তমানে এখানে বসবাস করছেন তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।

আগামী মঙ্গলবার (৭ মে) তার শাশুড়ি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি দেশে ফিরছেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও একমাত্র কন্যা জায়মাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর এই প্রথম দেশে পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন জানিয়েছেন, ‘মাহবুব ভবনে’ সাজসজ্জা, সিসিটিভি স্থাপন, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, জেনারেটরসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্য এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (CSF) সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।

তিনি বলেন, “বাসা এমনিতেই পরিচ্ছন্ন। তবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করে, সবদিক বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।”

বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ইতিমধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে একটি চিঠি দিয়ে ডা. জোবাইদার নিরাপত্তা ঝুঁকি উল্লেখ করে সশস্ত্র গানম্যান, পুলিশ পাহারা এবং বাসায় আর্চওয়ে স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে মাহবুব ভবন পরিদর্শন করেছেন এবং নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক ঠিক করেছেন বলে জানিয়েছেন রুম্মন।

ডা. জোবাইদা রহমান পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে শিক্ষা ছুটিতে লন্ডনে গিয়ে ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর (MSC) ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০০৮ সালে তারেক রহমানের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় অভিযুক্ত হন ডা. জোবাইদা ও তার মা। গত বছর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ডা. জোবাইদা রহমানের বাবা মাহবুব আলী খান ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান এবং পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের মন্ত্রী। আর তার চাচা ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী।

ডা. জোবাইদার দেশে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরনের উত্তেজনা ও প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়েও জল্পনা চলছে দলীয় মহলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

১৭ বছর পর ফিরছেন জোবাইদা রহমান, প্রস্তুত ‘মাহবুব ভবন’

আপডেট সময় : ১০:২৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন। তাকে স্বাগত জানাতে তার বাবার ধানমন্ডির বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’কে সাজানো হয়েছে নতুনভাবে।

ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত এই ভবনটি ছিল জোবাইদার বাবা, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসা। বর্তমানে এখানে বসবাস করছেন তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।

আগামী মঙ্গলবার (৭ মে) তার শাশুড়ি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি দেশে ফিরছেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও একমাত্র কন্যা জায়মাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর এই প্রথম দেশে পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন জানিয়েছেন, ‘মাহবুব ভবনে’ সাজসজ্জা, সিসিটিভি স্থাপন, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, জেনারেটরসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্য এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (CSF) সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।

তিনি বলেন, “বাসা এমনিতেই পরিচ্ছন্ন। তবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করে, সবদিক বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।”

বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ইতিমধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে একটি চিঠি দিয়ে ডা. জোবাইদার নিরাপত্তা ঝুঁকি উল্লেখ করে সশস্ত্র গানম্যান, পুলিশ পাহারা এবং বাসায় আর্চওয়ে স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে মাহবুব ভবন পরিদর্শন করেছেন এবং নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক ঠিক করেছেন বলে জানিয়েছেন রুম্মন।

ডা. জোবাইদা রহমান পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে শিক্ষা ছুটিতে লন্ডনে গিয়ে ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর (MSC) ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০০৮ সালে তারেক রহমানের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় অভিযুক্ত হন ডা. জোবাইদা ও তার মা। গত বছর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ডা. জোবাইদা রহমানের বাবা মাহবুব আলী খান ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান এবং পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের মন্ত্রী। আর তার চাচা ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী।

ডা. জোবাইদার দেশে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরনের উত্তেজনা ও প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়েও জল্পনা চলছে দলীয় মহলে।