লন্ডনে চিকিৎসা শেষে ৪ মাস পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আজ (মঙ্গলবার, ৬ মে) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে ঢাকায় পৌঁছেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজার’ উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে পথে পথে ছিলেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দরে চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। বিমাবন্দর গেট থেকে বাইরের সড়ক পর্যন্ত তাঁকে স্বাগত জানাতে নেতা–কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। হাত নেড়ে, স্লোগানে দলীয় চেয়ারপারসনকে বরণ করেন তাঁরা।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নিচ্ছেন এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। তার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কায় ট্রাফিক পুলিশও বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে দেশের উদ্দেশে দোহা বিমান বন্দর ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক ৯টা ৩৫ মিনিটে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। এর আগে লন্ডনের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বাংলাদেশ সময় ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। পরে তারেক রহমান মাকে বিদায় জানান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন দুই পুত্রবধূ শামেলা রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানসহ ১৫ জন। ডা. জোবাইদা রহমানও ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে ফিরলেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন জোবাইদা। এরপর দীর্ঘ সময় দেশে ফিরতে পারেননি তিনি।
গুলশানে খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’র ভেতরের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ হয়েছে। সামনের সবুজ আঙিনায় ফুলগাছের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসা, বাসার আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জা কোনো কিছুই বাদ নেই। ম্যাডামের স্বজনরা সব কিছু তদারকি করেছেন।
এ ছাড়া জুবাইদা রহমান দেশে ফিরে প্রথমত শাশুড়ির সঙ্গে গুলশানে তার বাসা ফিরোজায় যাবেন। পরে তিনি ধানমণ্ডিতে তার পৈতৃক বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’-এ থাকবেন। সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসা ধানমণ্ডির ৫ নম্বর সড়কে এই ‘মাহবুব ভবন’। এখানে এখন তার সহধর্মিণী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু এবং বড় মেয়ে শাহীনা জামান ও তার পরিবার বসবাস করেন। বয়োবৃদ্ধ সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু কয়েক দিন আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ছোট মেয়ে জুবাইদা রহমান ঢাকায় এসে বাবার বাসায় উঠবেন বলে বাসার নিরাপত্তা ও সাজসজ্জা করা হয়েছে।