ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের পুনর্বহালের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানরা স্বীয় পদে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার (৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের অপসারিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ষষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর চৌধুরী মিলন।

ইজাদুর চৌধুরী মিলন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ সালের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বতন্ত্রভাবে, নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নির্বাচনে দলীয় কোনো মনোগ্রাম, মনোনয়ন বা প্রতীক ছিল না। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণ করে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।

কিন্তু গত বছরের ১৮ ও ১৯ আগস্ট, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-১ শাখা থেকে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ১৩ (ঘ) প্রয়োগ করে দেশের ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করা হয়।

অপসারণের ফলে উপজেলা পরিষদে জনপ্রতিনিধি না থাকায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। অপসারণের আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি, যা সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ আইন ব্যতিরেকে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের অব্যাহতি প্রদান স্থানীয় সরকারের মূল আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে ইজাদুর চৌধুরী মিলন বলেন, বিগত সরকারের আমলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বহাল তবিয়তে আছেন।

তিনি দাবি করেন, তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আর এটাই তাদের অপরাধ নয়, বরং তাদের অর্জন। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী নীতি এবং কথিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভীতি উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে স্বতন্ত্রভাবে জয়লাভ করেছেন।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও যদি উপজেলা নির্বাচন হয়, তাহলেও তারা পুনরায় নির্বাচিত হবেন। উপজেলা জনপ্রতিনিধিদের অব্যাহতি প্রদান অবিলম্বে বাতিল করে স্বপদে পুনর্বহাল করার জোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ষষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ফোরামের সদস্য সচিব মো. হানিফ আহমেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের পুনর্বহালের দাবি

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

দেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানরা স্বীয় পদে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার (৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের অপসারিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ষষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর চৌধুরী মিলন।

ইজাদুর চৌধুরী মিলন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ সালের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বতন্ত্রভাবে, নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নির্বাচনে দলীয় কোনো মনোগ্রাম, মনোনয়ন বা প্রতীক ছিল না। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণ করে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।

কিন্তু গত বছরের ১৮ ও ১৯ আগস্ট, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-১ শাখা থেকে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ১৩ (ঘ) প্রয়োগ করে দেশের ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করা হয়।

অপসারণের ফলে উপজেলা পরিষদে জনপ্রতিনিধি না থাকায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। অপসারণের আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি, যা সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ আইন ব্যতিরেকে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের অব্যাহতি প্রদান স্থানীয় সরকারের মূল আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে ইজাদুর চৌধুরী মিলন বলেন, বিগত সরকারের আমলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বহাল তবিয়তে আছেন।

তিনি দাবি করেন, তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আর এটাই তাদের অপরাধ নয়, বরং তাদের অর্জন। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী নীতি এবং কথিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভীতি উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে স্বতন্ত্রভাবে জয়লাভ করেছেন।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও যদি উপজেলা নির্বাচন হয়, তাহলেও তারা পুনরায় নির্বাচিত হবেন। উপজেলা জনপ্রতিনিধিদের অব্যাহতি প্রদান অবিলম্বে বাতিল করে স্বপদে পুনর্বহাল করার জোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ষষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ফোরামের সদস্য সচিব মো. হানিফ আহমেদ।