পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ভারতের, নিহত ২৬

- আপডেট সময় : ০১:০৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

পেহেলগাম হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে এ হামলা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন। হামলার পাল্টা জবাবে ৫টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। ধ্বংস করেছে ব্রিগেডের প্রধান কার্যালয়।
পাকিস্তান আইএসপিআরের মহাপরিচালক জানান, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের ছয়টি জায়গায় ২৪টি স্থাপনায় বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৪৬ জন।
এর আগে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভারতীয় হামলায় ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের ‘এক্স’-এ দেয়া এক পোস্টে দাবি করেছে, ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বার গলিতে কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। এর আগে ভারতের দু’টি বিমান এবং একটি ড্রােন ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান।
গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলা হলাে।
সবশেষ খবরে জানা গেছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকা থেকে বিস্ফােরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, দেশটির তিনটি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারত।
এদিকে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নাম দিয়ে চালানাে এই হামলায় ‘সন্ত্রাসী স্থাপনা’কে নিশানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত। যেসব স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, সেখান থেকে ভারতের ওপরে ‘সন্ত্রাসী’ হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে ভারতের সরকার দাবি করেছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সময়মতো এ হামলার জবাব দেবে। তাদের বিমান বাহিনীর জেট বিমানগুলি ইতিমধ্যেই আকাশে রয়েছে।
এদিকে ভারত সরকার দাবি করেছে, দেশটির সশস্ত্র বাহিনী একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অন্তত ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনা তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল না।