ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সিলেটে কার্গো টার্মিনাল চালু: বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটে কার্গো টার্মিনাল চালুর মধ্য দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে টার্মিনালে প্যাকেজিং ব্যবস্থা ও ল্যাব টেস্ট সুবিধার অভাবে ব্যবসায়ীদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। তাই যত দ্রুতসম্ভব এই সুবিধা চালুর দাবি তাদের। যদিও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন তারা।

গত ২৭ এপ্রিল সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ‘এয়ার বাস ৩৩০-৩০০’ মালবাহী বিমানটিকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে বরণ করে নেয়, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। সেদিনই দেশে উৎপাদিত ৬০ টন তৈরি পোশাক নিয়ে স্পেনের উদ্দেশে উড়াল দেয় বিমানটি; যা সিলেট ব্যবসায়ীদের জন্য স্মরণীয় একটি দিন।

সিলেট থেকে কার্গো টার্মিনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও এখনই সেই সুবিধা নিতে পারছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কারণ এখনো চালু হয়নি ল্যাব টেস্ট ও প্যাকেজিং ব্যবস্থা। ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য ফল, কাঁচামাল, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের চাহিদা ইউরোপে থাকলেও মানদণ্ড নির্ধারণ প্রক্রিয়া না থাকায় আপাতত রপ্তানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত প্যাকেজিং সুবিধা ও ল্যাব টেস্টিং ব্যবস্থা চালু করা, যাতে সিলেট থেকে সরাসরি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়।

এসসিসিআই’র সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ বলেন, ‘এখানে ল্যাব এবং প্যাকেজিং হয়ে গেলে আমাদের কস্টিংটা কমে যাবে। যারা উৎপাদন করছে, বিশেষ করে কাঁচামাল, সবজি, এরা উৎপাদনে আরো উৎসাহী হবে।’

এসসিসিআই সভাপাতি মুজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, ‘প্যাকেজিং হাউজ এবং টেস্টিং ল্যাব এই দুইটা হয়ে গেলে আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, অ্যামেরিকাতে বা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আমরা আমাদের দেশের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করতে পারবো।’

যত দ্রুত সম্ভব সিলেটে ল্যাব টেস্ট ও প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানান, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুরুল কবির ভুইঁয়া বলেন, ‘এয়ারপোর্টে যেহেতু আমাদের জায়গা অনেক কম, আমরা ভেতরে জায়গা দিতে পারবো না আসলে। এয়ারপোর্টের আশপাশে জায়গা আছে, সেখানে অ্যাভেইলেবল করে হয়তো আমরা করে ফেলবো। সেভাবেই আসরা এগিয়ে যাচ্ছি। যদি আমরা সেভাবে এগিয়ে যেতে পারি, ভালো। না পারলে ব্যবসায়ী সমাজের কেউ ইন্টারেস্টেড হলে, মন্ত্রণালয় বা আমাদের উপদেষ্টাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা করবো।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটে কার্গোটার্মিনালের পুর্ণাঙ্গ সুবিধা চালু হলে রপ্তানি পণ্য বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের খরচ বাঁচবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিলেটে কার্গো টার্মিনাল চালু: বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন

আপডেট সময় : ০৩:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

সিলেটে কার্গো টার্মিনাল চালুর মধ্য দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে টার্মিনালে প্যাকেজিং ব্যবস্থা ও ল্যাব টেস্ট সুবিধার অভাবে ব্যবসায়ীদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। তাই যত দ্রুতসম্ভব এই সুবিধা চালুর দাবি তাদের। যদিও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন তারা।

গত ২৭ এপ্রিল সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ‘এয়ার বাস ৩৩০-৩০০’ মালবাহী বিমানটিকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে বরণ করে নেয়, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। সেদিনই দেশে উৎপাদিত ৬০ টন তৈরি পোশাক নিয়ে স্পেনের উদ্দেশে উড়াল দেয় বিমানটি; যা সিলেট ব্যবসায়ীদের জন্য স্মরণীয় একটি দিন।

সিলেট থেকে কার্গো টার্মিনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও এখনই সেই সুবিধা নিতে পারছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কারণ এখনো চালু হয়নি ল্যাব টেস্ট ও প্যাকেজিং ব্যবস্থা। ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য ফল, কাঁচামাল, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের চাহিদা ইউরোপে থাকলেও মানদণ্ড নির্ধারণ প্রক্রিয়া না থাকায় আপাতত রপ্তানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত প্যাকেজিং সুবিধা ও ল্যাব টেস্টিং ব্যবস্থা চালু করা, যাতে সিলেট থেকে সরাসরি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়।

এসসিসিআই’র সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ বলেন, ‘এখানে ল্যাব এবং প্যাকেজিং হয়ে গেলে আমাদের কস্টিংটা কমে যাবে। যারা উৎপাদন করছে, বিশেষ করে কাঁচামাল, সবজি, এরা উৎপাদনে আরো উৎসাহী হবে।’

এসসিসিআই সভাপাতি মুজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, ‘প্যাকেজিং হাউজ এবং টেস্টিং ল্যাব এই দুইটা হয়ে গেলে আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, অ্যামেরিকাতে বা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আমরা আমাদের দেশের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করতে পারবো।’

যত দ্রুত সম্ভব সিলেটে ল্যাব টেস্ট ও প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানান, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুরুল কবির ভুইঁয়া বলেন, ‘এয়ারপোর্টে যেহেতু আমাদের জায়গা অনেক কম, আমরা ভেতরে জায়গা দিতে পারবো না আসলে। এয়ারপোর্টের আশপাশে জায়গা আছে, সেখানে অ্যাভেইলেবল করে হয়তো আমরা করে ফেলবো। সেভাবেই আসরা এগিয়ে যাচ্ছি। যদি আমরা সেভাবে এগিয়ে যেতে পারি, ভালো। না পারলে ব্যবসায়ী সমাজের কেউ ইন্টারেস্টেড হলে, মন্ত্রণালয় বা আমাদের উপদেষ্টাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা করবো।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটে কার্গোটার্মিনালের পুর্ণাঙ্গ সুবিধা চালু হলে রপ্তানি পণ্য বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের খরচ বাঁচবে।