গত বছরের শেষদিকেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে সেদিন তা হয়নি। নতুন তারিখ ছিল চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি। সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগেরদিন আসে আদালতের স্থগিতাদেশ। তাই এদিনও ভোট গ্রহণ হয়নি।
সবশেষ কথা চূড়ান্ত হয়, আগামীকাল শুক্রবার (৯ মে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বেশকিছু সূত্র নিশ্চিত করেছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞায় আবারও স্থগিত হলো পরিচালকদের এই নির্বাচন।
কেন বারবার আটকে যাচ্ছে নির্বাচন? সেই প্রশ্ন উঠছে বেশ জোরেশোরে। এ নিয়ে রয়েছে পক্ষে-বিপক্ষের নানা মত। এক পক্ষের দাবি, কেপিআইভুক্ত এলাকা বলে বিএফডিসিতে নির্বাচনের অনুমতি পাওয়া যায়নি।
আরেকটি পক্ষ বলছে, নির্বাচন হতে দিতে চায় না একটি পক্ষ। কারণ দুই প্যানেলেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সমর্থক পরিচালকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ কারণেই বারবার নির্বাচন স্থগিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ হতাশ পরিচালকরাও।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। এর মধ্যে মুশফিকুর রহমান গুলজার-সাফিউদ্দিন সাফি প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদপ্রার্থী ছাড়া সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী হয়েছেন আবুল খায়ের বুলবুল (সহ-সভাপতি), সালাউদ্দিন (উপমহাসচিব), সাইমন তারিক (কোষাধ্যক্ষ), আবদুর রহিম বাবু (সাংগঠনিক), রফিক শিকদার (প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব), এস ডি রুবেল (আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি), মুস্তাফিজুর রহমান মানিক (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া)।
অন্য প্যানেলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন টানা দুইবারের মহাসচিব শাহীন সুমন। তিনি প্যানেল গড়েছেন শাহীন কবির টুটুলকে নিয়ে। এই প্যানেল থেকে সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী হয়েছেন মনতাজুর রহমান আকবর (সহ-সভাপতি), কবিরুল ইসলাম রানা (উপমহাসচিব), সেলিম আজম (কোষাধক্ষ), ওয়াজেদ আলী বাবুল (প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব), বন্ধন বিশ্বাস (আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি), সাইফ চন্দন (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া)।