আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে সরকার

- আপডেট সময় : ০৩:৩০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষে থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, অন্তর্বর্তী সরকার তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। আজ (শুক্রবার, ৯ মে) প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে।
সে পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে সরকার।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
এ ছাড়া, সরকারের পক্ষে থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘ফ্যাসিবাদী সরকারের’ সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশগমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়েও অন্তর্বর্তী সরকার অবগত— এমনটাও বিবৃতিতে জানানো হয়। বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। রাত ২টার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারাও বিক্ষোভে যোগ দেন। সকল ৮টার দিকে যোগ দেয় জামায়াতে ইসলামী।
বর্তমানে শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে স্থাপিত মঞ্চে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা।