সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে পাকিস্তান সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসলামাবাদের মিত্রদের চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে ভারতের আক্রমণের জবাব দিতে চায় না পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং অন্যান্যরা উত্তেজনা কমানোর জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এদিকে সূত্রটি জানিয়েছে, 'পাকিস্তান কূটনীতির জন্য সুযোগ দিচ্ছে।' তিনি ভারতে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, 'পাকিস্তান এখনো ভারতের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেনি বা ড্রোন পাঠায়নি।'
এর আগে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, পাকিস্তান ভারত এবং ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সামরিক স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও ভারত এবং ভারত-শাসিত কাশ্মীরের ১৫টি স্থানে পাকিস্তানের হামলার বিষয়ে 'একটি হাইপ তৈরি করার' অভিযোগ করেছে। সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি একটি কল্পিত এবং সাজানো গল্প। আপনি এটি নিয়ে কেবল হাসতে পারেন।'
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র এর আগে সিএনএনকে বলেছিলেন, ভারত-শাসিত কাশ্মীরের জম্মু শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পুলিশের একটি সূত্রের মতে, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোটের পুলিশও বিস্ফোরণের খবর পেয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উভয় স্থানেই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে।
এদিকে চলমান উত্তেজনার মধ্যে উভয় পক্ষকে বিশ্বনেতারা সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে 'সরাসরি সংলাপের' প্রতি মার্কিন সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং 'যোগাযোগ উন্নত করার অব্যাহত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেছেন'।
এদিকে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে এখন পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগ হয়নি বলে পাকিস্তানের সূত্রটি জানিয়েছে।