ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে: মঈন খান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি না- এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে কি না করবে।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি বিএনপির সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। এটি নির্বাচন কমিশন, সরকার ও যারা নিষিদ্ধ করতে চায় তাদের ঐকমত্যের বিষয়।

মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু ও দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরা সম্ভব। জনগণের প্রতিনিধিত্ব নির্ধারিত হতে পারে একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনটি যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রের উত্তরণ চাই। নির্বাচনের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে পারি।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে ড. মঈন খান বলেন, তাদের জিজ্ঞাসা করতে হবে, তারা কি আদৌ নির্বাচনে আসবে? আওয়ামী লীগের একজনও কি গত ১৫ বছরে জনগণকে জিম্মি করার জন্য কোনো ক্ষমা চেয়েছে?

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা দ্য কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

বিএনপির পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান, মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

দ্য কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর তারা শরিফ, ডেটা সায়েন্টিস্ট মাইকেল বালদাসারো, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর সাইরাহ জাইদি, প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট ড্যানিয়েল রিচার্ডসন এবং স্থানীয় মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ কাজী শহীদুল ইসলাম।

মঈন খান জানান, বৈঠকে মূলত দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রথমত, বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দ্বিতীয়ত, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে (ইলেকশন মনিটরিং) কার্টার সেন্টারের সম্ভাব্য ভূমিকা। প্রতিনিধিদলটি জানতে চায়, নির্বাচন কখন ও কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং তাদের মনিটরিং প্রক্রিয়া এতে কীভাবে যুক্ত হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে: মঈন খান

আপডেট সময় : ০৩:২০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি না- এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে কি না করবে।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি বিএনপির সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। এটি নির্বাচন কমিশন, সরকার ও যারা নিষিদ্ধ করতে চায় তাদের ঐকমত্যের বিষয়।

মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু ও দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরা সম্ভব। জনগণের প্রতিনিধিত্ব নির্ধারিত হতে পারে একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনটি যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রের উত্তরণ চাই। নির্বাচনের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে পারি।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে ড. মঈন খান বলেন, তাদের জিজ্ঞাসা করতে হবে, তারা কি আদৌ নির্বাচনে আসবে? আওয়ামী লীগের একজনও কি গত ১৫ বছরে জনগণকে জিম্মি করার জন্য কোনো ক্ষমা চেয়েছে?

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা দ্য কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

বিএনপির পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান, মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

দ্য কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর তারা শরিফ, ডেটা সায়েন্টিস্ট মাইকেল বালদাসারো, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর সাইরাহ জাইদি, প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট ড্যানিয়েল রিচার্ডসন এবং স্থানীয় মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ কাজী শহীদুল ইসলাম।

মঈন খান জানান, বৈঠকে মূলত দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রথমত, বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দ্বিতীয়ত, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে (ইলেকশন মনিটরিং) কার্টার সেন্টারের সম্ভাব্য ভূমিকা। প্রতিনিধিদলটি জানতে চায়, নির্বাচন কখন ও কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং তাদের মনিটরিং প্রক্রিয়া এতে কীভাবে যুক্ত হতে পারে।