ভারত-পাকিস্তান চলমান সংঘর্ষের প্রভাব ক্রিকেটাঙ্গনে ভালোভাবেই পড়তে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম অঞ্চলে ভারতের চালানো ড্রোন হামলার প্রভাবে পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের গতকালের ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে এক জরুরি সভা শেষে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার স্বার্থে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি।
গতকাল যে শুধু পিএসএলের ম্যাচ পণ্ড হয়েছে, এমন নয়। ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলেও পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ইস্যুতে। এ থেকেই প্রশ্নটা জোরেশোরে উঠছে, পিএসএল না হয় সরে গেল, আইপিএলের ভাগ্যে কী আছে?
অবশ্য আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং সরকারের নির্দেশ পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইপিএলের চেয়ারম্যান আরুণ ধুমাল।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে আলাপকালে আরুণ বলেছেন, ‘আমরা এ মুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। এটা একটা পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি। এখনও আমরা সরকারের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি। সব স্টেকহোল্ডারদের সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আইপিএল কর্তৃপক্ষ এখনো সিদ্ধান্ত না নিলেও টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া অনেক বিদেশি ক্রিকেটার উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তারা দ্রুত নিজ নিজ দেশে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন- বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে পিটিআই। বিশেষ করে গতকাল পাঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচের ঘটনার পর তাদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।