ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মস্কোতে শি চিনপিং-পুতিন বৈঠক, বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন বার্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ব রাজনীতির ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং মস্কোয় বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্ক আরও ‘গভীর’ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রেমলিনে চার ঘণ্টার বৈঠক শেষে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে উভয় নেতা একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, যেখানে তারা ‘চীন-রাশিয়া ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন যুগে উন্নীত’ করার কথা জানান।

বৈঠক শেষে পুতিন বলেন, ‘বর্তমান ভূরাজনৈতিক সংকট ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে চীন-রাশিয়া পররাষ্ট্রনীতি একটি স্থিতিশীলতার প্রতীক।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে পুতিন আরও বলেন, ‘চীনের সঙ্গে একটি ন্যায়ের ও উন্মুক্ত বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনের পক্ষে আমরা কাজ করছি।

শি চিনপিং বলেন, ‘রাশিয়া ও চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও অগ্রসর শক্তি হিসেবে কাজ করছে।’

শি বিশ্ব শাসনে নেতৃত্ব দিতে দুই দেশের যৌথ ভূমিকার উপর গুরুত্ব দেন এবং বলেন যে উভয় দেশকে ‘একপাক্ষিকতা ও আধিপত্যবাদ’ এর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো যখন বিশ্ব রাজনীতি অস্থির, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহ্যগত বৈদেশিক নীতিতে পরিবর্তন এনেছে।

মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও চীন নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ককে জোরদার করছে।

বৈঠক শেষে পুতিন জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়া-চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ‘গুণগত অগ্রগতি’ আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘চীনা প্রযুক্তি ও শিল্প অভিজ্ঞতা রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হচ্ছে এবং রাশিয়া এখন চীনের গাড়ির বৃহত্তম আমদানিকারক।’

চীন বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মোকাবেলায় চীন রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে দিয়েছে। চীন রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

বৈঠক শেষে উভয় দেশ ২০টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা, জৈব নিরাপত্তা, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, চলচ্চিত্র সহযোগিতা, কোয়ারান্টাইন পরিদর্শন।

শি চিনপিং ছাড়া আরো বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ তার মিত্রদের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সপ্তাহের সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মস্কো সফর করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মস্কোতে শি চিনপিং-পুতিন বৈঠক, বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন বার্তা

আপডেট সময় : ০২:০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

বিশ্ব রাজনীতির ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং মস্কোয় বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্ক আরও ‘গভীর’ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রেমলিনে চার ঘণ্টার বৈঠক শেষে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে উভয় নেতা একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, যেখানে তারা ‘চীন-রাশিয়া ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন যুগে উন্নীত’ করার কথা জানান।

বৈঠক শেষে পুতিন বলেন, ‘বর্তমান ভূরাজনৈতিক সংকট ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে চীন-রাশিয়া পররাষ্ট্রনীতি একটি স্থিতিশীলতার প্রতীক।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে পুতিন আরও বলেন, ‘চীনের সঙ্গে একটি ন্যায়ের ও উন্মুক্ত বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনের পক্ষে আমরা কাজ করছি।

শি চিনপিং বলেন, ‘রাশিয়া ও চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও অগ্রসর শক্তি হিসেবে কাজ করছে।’

শি বিশ্ব শাসনে নেতৃত্ব দিতে দুই দেশের যৌথ ভূমিকার উপর গুরুত্ব দেন এবং বলেন যে উভয় দেশকে ‘একপাক্ষিকতা ও আধিপত্যবাদ’ এর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো যখন বিশ্ব রাজনীতি অস্থির, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহ্যগত বৈদেশিক নীতিতে পরিবর্তন এনেছে।

মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও চীন নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ককে জোরদার করছে।

বৈঠক শেষে পুতিন জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়া-চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ‘গুণগত অগ্রগতি’ আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘চীনা প্রযুক্তি ও শিল্প অভিজ্ঞতা রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হচ্ছে এবং রাশিয়া এখন চীনের গাড়ির বৃহত্তম আমদানিকারক।’

চীন বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মোকাবেলায় চীন রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে দিয়েছে। চীন রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

বৈঠক শেষে উভয় দেশ ২০টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা, জৈব নিরাপত্তা, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, চলচ্চিত্র সহযোগিতা, কোয়ারান্টাইন পরিদর্শন।

শি চিনপিং ছাড়া আরো বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ তার মিত্রদের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সপ্তাহের সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মস্কো সফর করবেন।