ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চলতি বছরও দারিদ্র্য বিমোচনে হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও দারিদ্র্য বিমোচনে হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ। বাড়তে পারে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার। বিশ্বব্যাংকের এমন আশঙ্কা সামনে রেখে, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে জরিপের উদ্যোগ নিয়েছে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে নতুন দারিদ্র্যের কারণ ও করণীয় উঠে আসবে। বাজেটে তাদের জন্য থাকবে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা।

চলতি বছর শেষে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ২৩ ভাগ। যা ২০২২ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৭ ভাগ। করোনা পরবর্তী প্রতিবছরই বেড়েছে নতুন দরিদ্র। তবে বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কা, চলতি বছর বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ প্রায় আড়াই শতাংশ হতে পারে। দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টের কম আয় করা অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে ৩০ লাখ। তিন বছরের ব্যবধানে এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ৯ দশমিক ৩ ভাগে।

করোনা পরবর্তী সময়েও বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়েনি, বাজারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম।

বিশ্বব্যাংক বলছে, গত বছরের শেষার্ধে এসব সংকট আরও প্রকট হয়। এ সময় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় চার ভাগ শ্রমিক। কারো কারো মজুরিও কমেছে। এতে অর্থনৈতিক-সামাজিক বৈষম্য বাড়ছে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলছেন, মাঠের বাস্তবতা জানতে জরিপ চালাবে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হালনাগাদ তথ্য জোগারের পাশাপাশি, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি কর্মসূচি গ্রহণে, সামনের বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখা হবে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, গত বছর বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৬ ভাগ। যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ দশমিক ৪ ভাগ। সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছে সেবা ও কৃষিখাতের কর্মী।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলতি বছরও দারিদ্র্য বিমোচনে হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১২:১৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও দারিদ্র্য বিমোচনে হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ। বাড়তে পারে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার। বিশ্বব্যাংকের এমন আশঙ্কা সামনে রেখে, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে জরিপের উদ্যোগ নিয়েছে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে নতুন দারিদ্র্যের কারণ ও করণীয় উঠে আসবে। বাজেটে তাদের জন্য থাকবে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা।

চলতি বছর শেষে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ২৩ ভাগ। যা ২০২২ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৭ ভাগ। করোনা পরবর্তী প্রতিবছরই বেড়েছে নতুন দরিদ্র। তবে বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কা, চলতি বছর বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ প্রায় আড়াই শতাংশ হতে পারে। দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টের কম আয় করা অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে ৩০ লাখ। তিন বছরের ব্যবধানে এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ৯ দশমিক ৩ ভাগে।

করোনা পরবর্তী সময়েও বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়েনি, বাজারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম।

বিশ্বব্যাংক বলছে, গত বছরের শেষার্ধে এসব সংকট আরও প্রকট হয়। এ সময় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় চার ভাগ শ্রমিক। কারো কারো মজুরিও কমেছে। এতে অর্থনৈতিক-সামাজিক বৈষম্য বাড়ছে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলছেন, মাঠের বাস্তবতা জানতে জরিপ চালাবে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হালনাগাদ তথ্য জোগারের পাশাপাশি, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি কর্মসূচি গ্রহণে, সামনের বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখা হবে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, গত বছর বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৬ ভাগ। যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ দশমিক ৪ ভাগ। সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছে সেবা ও কৃষিখাতের কর্মী।