চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই বাড়ছে। গতকাল দুপুর ৩টায় চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (১০ মে) বিকাল ৩টায় মৌসুমের সর্বচ্চো তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র এই গরমে হাফিয়ে উঠেছে প্রাণীকূল। এই গরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। একটু কাজ করেই হাফিয়ে উঠছে। ছায়া শীতল জায়গা পেলেই বিশ্রাম নিতে দেখা গিয়েছে।
এদিকে রাস্তার বিটুমিন তীব্র তাপে গলে যেতে দেখা গিয়েছে। তবে বাতাসে আদ্রতা কম থাকায় মানুষ ঘামছে কম। আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর ১৩ মে’র পর বৃষ্টির সম্ভববা রয়েছে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
এর আগে, শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (০৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জেলার মানুষ। রোদের তেজ আর গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গরম থেকে একটু প্রশান্তির খোঁজে কেউ কেউ গাছের ছায়ায় আশ্রয় খুঁজে ফিরছেন পথচারী মানুষ। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েক দিন এ জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। ১৪ মের পর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৬ এবং ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।