ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘আ.লীগকে বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বিএনপি’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক আদালতের আইন সংশোধনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি। এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই দাবি ফেব্রুয়ারিতেই করেছিল বিএনপি। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই আমাদের মূল শক্তি।

আজ (রোববার, ১১ মে) রোববার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ, নাগরিক কোয়ালিশন ও সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের সাত প্রস্তাবের ওপর এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মানে না, তাদের ডিএনএতে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের আওতায় আনতে আইন সংশোধনের উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানায় বিএনপি।’

এ সময় সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারকে আগামীতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।’

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক কোয়ালিশনের উদ্যোগে সংবিধান সংশোধনে ৭টি দাবি পেশ করা হয়। ১০০ সিটের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা, সাংবিধানিক নিয়োগে বাধ্যবাধকতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠন, প্রধানমন্ত্রীর পদে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন, জুলাই সনদকে সংবিধানের পরিশিষ্ট হিসেবে সংযুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দেয়া হয়।

পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ও নির্বাচনের একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার দাবিও জানানো হয়।

তবে এসব দাবির কয়েকটির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। উচ্চকক্ষকে অসীম ক্ষমতা দেয়ার বিপক্ষে মত দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধান নতুন করে তৈরি করার প্রস্তাবনাকে উচ্চাশা হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদ রাখাই স্বৈরতন্ত্র মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয়। বরং ক্ষমতার ভারসাম্য আনাটা গুরুত্বপূর্ণ।’

নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু সংবিধানের কারণেই ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হয় না। সব উত্তর সংবিধানে না খুঁজে ছোট ছোট আইনের মাধ্যমেও বড় সমাধান করা যায়।’

আলোচনা সভায় বিচার বিভাগকে স্বাধীন না করে, নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা বাড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বারবার সংবিধান সংশোধনের পরও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে কোনো সুফল আসবে না বলে মনে করেন জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সবকটি দলের ঐকমত্য ছাড়া রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কার সম্ভব নয় বলে মত অংশগ্রহণকারীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘আ.লীগকে বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বিএনপি’

আপডেট সময় : ০৩:০৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক আদালতের আইন সংশোধনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি। এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই দাবি ফেব্রুয়ারিতেই করেছিল বিএনপি। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই আমাদের মূল শক্তি।

আজ (রোববার, ১১ মে) রোববার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ, নাগরিক কোয়ালিশন ও সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের সাত প্রস্তাবের ওপর এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মানে না, তাদের ডিএনএতে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের আওতায় আনতে আইন সংশোধনের উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানায় বিএনপি।’

এ সময় সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারকে আগামীতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।’

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক কোয়ালিশনের উদ্যোগে সংবিধান সংশোধনে ৭টি দাবি পেশ করা হয়। ১০০ সিটের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা, সাংবিধানিক নিয়োগে বাধ্যবাধকতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠন, প্রধানমন্ত্রীর পদে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন, জুলাই সনদকে সংবিধানের পরিশিষ্ট হিসেবে সংযুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দেয়া হয়।

পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ও নির্বাচনের একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার দাবিও জানানো হয়।

তবে এসব দাবির কয়েকটির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। উচ্চকক্ষকে অসীম ক্ষমতা দেয়ার বিপক্ষে মত দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধান নতুন করে তৈরি করার প্রস্তাবনাকে উচ্চাশা হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদ রাখাই স্বৈরতন্ত্র মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয়। বরং ক্ষমতার ভারসাম্য আনাটা গুরুত্বপূর্ণ।’

নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু সংবিধানের কারণেই ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হয় না। সব উত্তর সংবিধানে না খুঁজে ছোট ছোট আইনের মাধ্যমেও বড় সমাধান করা যায়।’

আলোচনা সভায় বিচার বিভাগকে স্বাধীন না করে, নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা বাড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বারবার সংবিধান সংশোধনের পরও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে কোনো সুফল আসবে না বলে মনে করেন জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সবকটি দলের ঐকমত্য ছাড়া রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কার সম্ভব নয় বলে মত অংশগ্রহণকারীদের।