ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম শব্দ ‘মা’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সবচেয়ে মধুর ডাক ‘মা’, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম শব্দও ‘মা’। আর সন্তানের সঙ্গে মায়ের মধুর সম্পর্ক, জগতের সব রীতি-নীতি বা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা থেকে অনেক ওপরে। মায়ের প্রতি ভালোবাসা সময়ের ফ্রেমে বেঁধে রাখার কিছু না হলেও, তাঁকে আজ একটু বিশেষভাবে মনে করছেন সন্তানেরা।

মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় নির্দিষ্ট কোনো দিন দরকার না হলেও, প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে ‘মা দিবস’। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে থেকে মিশর, রোম ও গ্রিসে বিশেষ একটি দিনকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হতো। মায়ের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে তাঁরা আরাধনা করত, দেবতাদের।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘মা দিবস’ উদযাপনের শুরুটা মূলত আমেরিকানদের থেকে। ১৮৭০ সালে সমাজসেবী জুলিয়া ওয়ার্ড হো যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ বন্ধে, সব মাকে একসঙ্গে করতে চান। আর এ জন্য মা দিবস পালনের প্রস্তাব দেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য ছিল, ১৮৫৮ সালে শান্তিকর্মী অ্যান জার্ভিসের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়া।

এ্যান জার্ভিস যুদ্ধ বিধ্বস্ত আমেরিকান নারীদের নিয়ে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা নিয়ে প্রচার ও কাজ শুরু করেন। তাঁর মৃত্যুর পর মেয়ে এ্যানা জার্ভিস মায়ের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের কাজে হাত দেয়। প্রতি রোববার মা যেখানে পড়াতেন, পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রাফিটন শহরের সেই চার্চে, ১৯০৮ সালের ১০ মে প্রথমবারের মতো দিনটি উদযাপন করেন অ্যানা। এর পর ধীরে ধীরে বড় পরিসরে উদযাপন হতে থাকে দিবসটি।

১৯১২ সালে সর্বপ্রথম এই দিনকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ১৯১৪ সালে দিনটিকে দেশব্যাপী সরকারি ছুটি ও জাতীয় উৎসবের মর্যাদা দেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন। আর ১৯৬২ সালে দিবসটি স্বীকৃতি পায়, আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে। এর পর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মা দিবস।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম শব্দ ‘মা’

আপডেট সময় : ১১:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

সবচেয়ে মধুর ডাক ‘মা’, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম শব্দও ‘মা’। আর সন্তানের সঙ্গে মায়ের মধুর সম্পর্ক, জগতের সব রীতি-নীতি বা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা থেকে অনেক ওপরে। মায়ের প্রতি ভালোবাসা সময়ের ফ্রেমে বেঁধে রাখার কিছু না হলেও, তাঁকে আজ একটু বিশেষভাবে মনে করছেন সন্তানেরা।

মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় নির্দিষ্ট কোনো দিন দরকার না হলেও, প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে ‘মা দিবস’। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে থেকে মিশর, রোম ও গ্রিসে বিশেষ একটি দিনকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হতো। মায়ের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে তাঁরা আরাধনা করত, দেবতাদের।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘মা দিবস’ উদযাপনের শুরুটা মূলত আমেরিকানদের থেকে। ১৮৭০ সালে সমাজসেবী জুলিয়া ওয়ার্ড হো যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ বন্ধে, সব মাকে একসঙ্গে করতে চান। আর এ জন্য মা দিবস পালনের প্রস্তাব দেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য ছিল, ১৮৫৮ সালে শান্তিকর্মী অ্যান জার্ভিসের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়া।

এ্যান জার্ভিস যুদ্ধ বিধ্বস্ত আমেরিকান নারীদের নিয়ে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা নিয়ে প্রচার ও কাজ শুরু করেন। তাঁর মৃত্যুর পর মেয়ে এ্যানা জার্ভিস মায়ের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের কাজে হাত দেয়। প্রতি রোববার মা যেখানে পড়াতেন, পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রাফিটন শহরের সেই চার্চে, ১৯০৮ সালের ১০ মে প্রথমবারের মতো দিনটি উদযাপন করেন অ্যানা। এর পর ধীরে ধীরে বড় পরিসরে উদযাপন হতে থাকে দিবসটি।

১৯১২ সালে সর্বপ্রথম এই দিনকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ১৯১৪ সালে দিনটিকে দেশব্যাপী সরকারি ছুটি ও জাতীয় উৎসবের মর্যাদা দেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন। আর ১৯৬২ সালে দিবসটি স্বীকৃতি পায়, আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে। এর পর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মা দিবস।