চাকরিবিধি না মানায় পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে চাকরিচ্যুতদের রূপপুর প্রকল্প ও গ্রিনসিটি বহুতল আবাসিক এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রোববার (১১ মে) দুপুরে রুপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৮ মে) রূপপুর প্রকল্প পরিচালক ও এনপিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এ অব্যাহতি প্রদানের কথা জানানো হয়। এরপর কোম্পানির প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারীকে বৃহস্পতিবার (০৮ মে) থেকে শনিবার (১০ মে) পর্যন্ত ইমেইল বার্তাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলে এ অব্যাহতি পত্রে জানানো হয়।
অব্যাহতি পত্রে বলা হয়, এনপিসিবিএল কোম্পানিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আপনারা নোটিশ পেমেন্ট বাবদ তিন মাসের বেতন ভাতা পাবেন। একইসঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় ও গ্রিনসিটিতে প্রবেশ বন্ধে অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. জাহেদুল হাছান বলেন, চাকরিবিধ না মানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানির ১৮ জনকে অব্যাহতি পত্র প্রদান করা হয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইড ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অথরিটির প্রধানকে অবহিত করা হয়েছে। তিনিও বিষয়টি জেনেছেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে পাবনার ঈশ্বরদীতে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন শুরু করে। মঙ্গলবার ঈশ্বরদী শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। পরদিন বুধবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভেতরে কোম্পানির অফিসে তারা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন।