ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দ্রুত আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বে নেতিবাচক কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এমনকি গোটা বিশ্ব দলটির সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ। এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে ভোটাধিকার হরণ, ভিন্নমত দমন, গুম, খুন ও নির্যাতনের তথ্য উঠে এসেছে জাতিংসঘসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে মিলেছে বিপুল অর্থপাচারের তথ্য।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। অবসান হয় সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের। এর পর থেকেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ওঠে।

৮ মে রাত থেকে আবারও আন্দোলনে নামে ছাত্র-জনতা। ১০ মে রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।

এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্বের কোনো দেশেরই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নেই। তারাও দেখেছে এত বড় একটি গণহত্যা চালিয়েও গত নয় মাস ধরে তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই গণহত্যাকারী দলটির ওপর গণতান্ত্রিক দেশগুলো ক্ষুব্ধ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে খুশি আন্দোলনকারীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলছেন, শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না। গুম-খুনে জড়িতদের বিচারও দ্রুত করতে হবে। যেসব অপরাধী বিদেশে পালিয়েছে তাঁদেরকেও দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দ্রুত আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

আপডেট সময় : ১২:১৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বে নেতিবাচক কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এমনকি গোটা বিশ্ব দলটির সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ। এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে ভোটাধিকার হরণ, ভিন্নমত দমন, গুম, খুন ও নির্যাতনের তথ্য উঠে এসেছে জাতিংসঘসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে মিলেছে বিপুল অর্থপাচারের তথ্য।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। অবসান হয় সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের। এর পর থেকেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ওঠে।

৮ মে রাত থেকে আবারও আন্দোলনে নামে ছাত্র-জনতা। ১০ মে রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।

এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্বের কোনো দেশেরই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নেই। তারাও দেখেছে এত বড় একটি গণহত্যা চালিয়েও গত নয় মাস ধরে তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই গণহত্যাকারী দলটির ওপর গণতান্ত্রিক দেশগুলো ক্ষুব্ধ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে খুশি আন্দোলনকারীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলছেন, শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না। গুম-খুনে জড়িতদের বিচারও দ্রুত করতে হবে। যেসব অপরাধী বিদেশে পালিয়েছে তাঁদেরকেও দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।