ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রোনালদোকে ছাড়াই যা করে দেখাল আল নাসর

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গতকালের আগে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের তিনটিই হেরেছিল আল নাসর। এর মধ্যে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে কাওয়াসাকির বিপক্ষে হেরে আল নাসর বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে। সৌদি প্রো লিগেও নেমে গিয়েছিল পয়েন্ট তালিকার পাঁচে।

হেরে যাওয়া তিন ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রো লিগের সবচেয়ে বড় তারকাকে দলে নিয়েও আল নাসরের এমন বেহাল পারফরম্যান্সে সমালোচনা কম হচ্ছিল না। এমন অবস্থার মধ্যেই গতকাল সোমবার প্রো লিগের ম্যাচে তলানির দিকের দল আল আখদৌদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আল নাসর। এ ম্যাচে পর্তুগিজ মহাতারকাকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ স্তেফানো পিওলি।

রোনালদোকে ছাড়া গতকাল আল নাসর যা করেছে, তাতে কিঞ্চিৎ আকারে হলেও প্রশ্নটা উঠছে, তবে কি রোনালদোকে ছাড়াই আল নাসর বেশি ভালো দল?

তা কী এমন করেছে রোনালদোহীন নাসর? আকদৌদকে ঘরের মাঠে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে পিওলির দল। সৌদি ক্লাবটির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় জয়। এমন মাইলফলকের দিনে একাই চার গোল করেছেন সাদিও মানে। এছাড়া জন দুরান দুটি এবং আইমান ইয়াহিয়া, মার্সেলো ব্রজোভিচ ও মোহাম্মেদ মারান একটি করে গোল করেছেন।

এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছ আল নাসর। ৩১ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট পিওলির দলের। সমান ম্যাচে যথাক্রমে ৭৪ ও ৬৮ পয়েন্ট শীর্ষ দুটি স্থানে আছে আল ইত্তিহাদ ও আল হিলাল। আর আল নাসরের গতকালের প্রতিপক্ষ আখদৌদ ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ দলের টুর্নামেন্টে ১৭ নম্বরে আছে।

আল নাসরের লিগ জয়ের আশা শেষ হয়ে গেলেও তালিকার শীর্ষ তিনে থাকতে পারলে পরের মৌসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে। লিগের বাকি থাকা তিন ম্যাচে পা না হড়কালে এশিয়ার সেরা হওয়ার টুর্নামেন্টে জায়গা নিশ্চিত করতে পারবে পিওলির শিষ্যরা। কিন্তু একটু এদিক হলেই সে পথটা বন্ধ হতে পারে। চারে থাকা আল কাদাসিয়া (৩১ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট) যে আল নাসরের চেয়ে মোটে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে। পাঁচে থাকা আল আহলিও চোখ রাঙানি দিচ্ছে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে।

গতকালের ম্যাচে ফেরা যাক। দুর্বল আখদৌদের বিপক্ষে আল নাসর যে বড় জয় পাবে, সেটা অনুমেয় ছিল। ম্যাচেও সেটার প্রতিফলন ঘটেছে। ৭৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখা নাসর শট নিয়েছিল ২৫টি। অন্যদিকে আখদৌদ মোটে ৪টি শট নিতে পেরেছে ম্যাচ জুড়ে।

পুরো ম্যাচেই দাপট দেখানো আল নাসর প্রথম গোলটা পেয়েছে ১৬ মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে বক্সের ভেতর ক্রস করেছিলেন সুলতান আল ঘানাম। সেটি মুঠোবন্দি করতে ব্যর্থ হন আখদৌদ গোলকিপার পাওলো ভিতর। হাত ফসকে বল যায় ইয়াহয়ার সামনে। সেখান থেকে জোরাল শটে আল নাসরকে এগিয়ে (১-০) দেন সৌদি লেফট উইঙ্গার। ৪ মিনিট পর ইয়াহিয়ার পাসেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দুরান।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে আল নাসরকে আবারও উদযাপনের উপলক্ষ্য এনে দেন ব্রজোভিচ। এবার আখদৌদ গোলকিপারের পাঞ্চ করা বলে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরাল শটে গোল করেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৪-০ করেন সাদিও মানে।

দ্বিতীয়ার্ধের ৭ মিনিট যেতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পান দুরান। ওতাভিওর পাসে বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে ব্যবধান আরও বাড়ান (৫-০) কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার।

বাকি সময়েও নিয়মিত বিরতিতেই গোল উদযাপন করেছে আল নাসর। এর মধ্যে ম্যাচের ৫৯ ও ৬৪ মিনিটে দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মানে। ১০ মিনিট পর পেয়ে যান চতুর্থ গোলের দেখাও। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে আখদৌদের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন মারান।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোনালদোকে ছাড়াই যা করে দেখাল আল নাসর

আপডেট সময় : ১২:০৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

গতকালের আগে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের তিনটিই হেরেছিল আল নাসর। এর মধ্যে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে কাওয়াসাকির বিপক্ষে হেরে আল নাসর বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে। সৌদি প্রো লিগেও নেমে গিয়েছিল পয়েন্ট তালিকার পাঁচে।

হেরে যাওয়া তিন ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রো লিগের সবচেয়ে বড় তারকাকে দলে নিয়েও আল নাসরের এমন বেহাল পারফরম্যান্সে সমালোচনা কম হচ্ছিল না। এমন অবস্থার মধ্যেই গতকাল সোমবার প্রো লিগের ম্যাচে তলানির দিকের দল আল আখদৌদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আল নাসর। এ ম্যাচে পর্তুগিজ মহাতারকাকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ স্তেফানো পিওলি।

রোনালদোকে ছাড়া গতকাল আল নাসর যা করেছে, তাতে কিঞ্চিৎ আকারে হলেও প্রশ্নটা উঠছে, তবে কি রোনালদোকে ছাড়াই আল নাসর বেশি ভালো দল?

তা কী এমন করেছে রোনালদোহীন নাসর? আকদৌদকে ঘরের মাঠে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে পিওলির দল। সৌদি ক্লাবটির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় জয়। এমন মাইলফলকের দিনে একাই চার গোল করেছেন সাদিও মানে। এছাড়া জন দুরান দুটি এবং আইমান ইয়াহিয়া, মার্সেলো ব্রজোভিচ ও মোহাম্মেদ মারান একটি করে গোল করেছেন।

এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছ আল নাসর। ৩১ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট পিওলির দলের। সমান ম্যাচে যথাক্রমে ৭৪ ও ৬৮ পয়েন্ট শীর্ষ দুটি স্থানে আছে আল ইত্তিহাদ ও আল হিলাল। আর আল নাসরের গতকালের প্রতিপক্ষ আখদৌদ ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ দলের টুর্নামেন্টে ১৭ নম্বরে আছে।

আল নাসরের লিগ জয়ের আশা শেষ হয়ে গেলেও তালিকার শীর্ষ তিনে থাকতে পারলে পরের মৌসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে। লিগের বাকি থাকা তিন ম্যাচে পা না হড়কালে এশিয়ার সেরা হওয়ার টুর্নামেন্টে জায়গা নিশ্চিত করতে পারবে পিওলির শিষ্যরা। কিন্তু একটু এদিক হলেই সে পথটা বন্ধ হতে পারে। চারে থাকা আল কাদাসিয়া (৩১ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট) যে আল নাসরের চেয়ে মোটে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে। পাঁচে থাকা আল আহলিও চোখ রাঙানি দিচ্ছে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে।

গতকালের ম্যাচে ফেরা যাক। দুর্বল আখদৌদের বিপক্ষে আল নাসর যে বড় জয় পাবে, সেটা অনুমেয় ছিল। ম্যাচেও সেটার প্রতিফলন ঘটেছে। ৭৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখা নাসর শট নিয়েছিল ২৫টি। অন্যদিকে আখদৌদ মোটে ৪টি শট নিতে পেরেছে ম্যাচ জুড়ে।

পুরো ম্যাচেই দাপট দেখানো আল নাসর প্রথম গোলটা পেয়েছে ১৬ মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে বক্সের ভেতর ক্রস করেছিলেন সুলতান আল ঘানাম। সেটি মুঠোবন্দি করতে ব্যর্থ হন আখদৌদ গোলকিপার পাওলো ভিতর। হাত ফসকে বল যায় ইয়াহয়ার সামনে। সেখান থেকে জোরাল শটে আল নাসরকে এগিয়ে (১-০) দেন সৌদি লেফট উইঙ্গার। ৪ মিনিট পর ইয়াহিয়ার পাসেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দুরান।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে আল নাসরকে আবারও উদযাপনের উপলক্ষ্য এনে দেন ব্রজোভিচ। এবার আখদৌদ গোলকিপারের পাঞ্চ করা বলে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরাল শটে গোল করেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৪-০ করেন সাদিও মানে।

দ্বিতীয়ার্ধের ৭ মিনিট যেতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পান দুরান। ওতাভিওর পাসে বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে ব্যবধান আরও বাড়ান (৫-০) কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার।

বাকি সময়েও নিয়মিত বিরতিতেই গোল উদযাপন করেছে আল নাসর। এর মধ্যে ম্যাচের ৫৯ ও ৬৪ মিনিটে দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মানে। ১০ মিনিট পর পেয়ে যান চতুর্থ গোলের দেখাও। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে আখদৌদের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন মারান।