ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৩-এর নামতা পড়িয়ে ফাইনালে হামজার দল

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘরের মাঠেই শেফিল্ড ইউনাইটেডকে আটকাতে পারেনি ব্রিস্টল সিটি। চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। ফিরতি লেগে শেফিল্ডের মাঠে গিয়ে ব্রিস্টল যে পাত্তা পাবে না, এটা অনুমেয়ই ছিল।

গতকাল সোমবার রাতে শেফিল্ডের মাঠ ব্রামাল লেনে শেষ চারের ফিরতি লেগে একই ব্যবধানে (৩-০) হেরেছে ব্রিস্টল। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্লে-অফের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে হামজা চৌধুরীর দল।

প্লে-অফের অন্য সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে আজ সান্ডারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে কভেন্ট্রি সিটি। দুদলের প্রথম লেগের ম্যাচে কভেন্ট্রির মাঠে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে এসেছে সান্ডারল্যান্ড। শেফিল্ডের ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হতে আজকের ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর প্রিমিয়ার লিগের টিকিটি পেতে দুদল ওয়েম্বলিতে ফাইনালে লড়বে আগামী ২৪ মে।

গতকালের ম্যাচে শেফিল্ড বল দখলে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে তটস্থ রেখেছিল ব্রিস্টলের রক্ষণভাগকে। তবে গোল পেতে শেফিল্ডকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৪১ মিনিট পর্যন্ত। হ্যারিসন ব্যারোসের কর্নারে দারুণ এক হেডে ব্রিস্টল গোলকিপার ম্যাক্স ও’লেরিকে পরাস্তা করেন কিফার মুর।

শেফিল্ড দ্বিতীয় গোলটাও পেয়েছে কর্নার থেকেই। ম্যাচের ৫২ মিনিটে পাওয়া সে কর্নারে শট এবারও শট নিয়েছেন ব্যারোস। ইংলিশ লেফট ব্যাকের মাটি কামড়ানো কর্নারে দৃষ্টিনন্দন ডামি করেন আন্দ্রে ব্রুকস। বল যায় ডি বক্সের মাথায় থাকা গুস্তাভো হ্যামারের সামনে। সেখান থেকে জোরালো শট নেন ডাচ মিডফিল্ডার। হ্যামারের শট ব্রিস্টলের স্কটিশ রাইটব্যাক রস ম্যাকরির পায়ে লেগে দিক বদলে আশ্রয় নেয় জালে। তাতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় শেফিল্ড।

ম্যাচের শেষ পর্যায়ে ব্যবধানটাকে আরও বাড়ান ক্যালাম ও’হেয়ার। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট আগে ইংলিশ স্ট্রাইকার টাইরেস ক্যাম্পবেল ম্যাচের বাঁপ্রান্ত থেকে ক্রস করেন বক্সে। এবার ডামি করেন ব্যারোস। তাতে বিভ্রান্ত হয়ে যান কভেন্ট্রির সেন্টার ব্যাক জ্যাক ভাইনার। বক্সের ভেতর অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে সহজ ট্যাপ ইনে গোল করেন ও’হেয়ার।

আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও বাংলাদেশি তারকা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে রাইটব্যাক পজিশনে খেলিয়েছেন কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার। যথারীতি দারুণ পারফরম্যান্সের কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন হামজা। ৪৪টি পাস দিয়েছেন বাংলাদেশি মিডফিল্ডার, যার ৪১টি ছিল নিখুঁত। ফাইনাল থার্ডে পাস দিয়েছেন ৪টি। ৫ বার ট্যাকল করে ৪ বারই সফল হয়েছেন। একবার বিপজ্জনক বল ক্লিয়ার করেছেন। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়েছেন আরও দুবার। ফুটবলের পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ফুটমবে হামজার এ ম্যাচের রেটিং ছিল ৭.৫!

নিউজটি শেয়ার করুন

৩-এর নামতা পড়িয়ে ফাইনালে হামজার দল

আপডেট সময় : ১২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

ঘরের মাঠেই শেফিল্ড ইউনাইটেডকে আটকাতে পারেনি ব্রিস্টল সিটি। চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। ফিরতি লেগে শেফিল্ডের মাঠে গিয়ে ব্রিস্টল যে পাত্তা পাবে না, এটা অনুমেয়ই ছিল।

গতকাল সোমবার রাতে শেফিল্ডের মাঠ ব্রামাল লেনে শেষ চারের ফিরতি লেগে একই ব্যবধানে (৩-০) হেরেছে ব্রিস্টল। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্লে-অফের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে হামজা চৌধুরীর দল।

প্লে-অফের অন্য সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে আজ সান্ডারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে কভেন্ট্রি সিটি। দুদলের প্রথম লেগের ম্যাচে কভেন্ট্রির মাঠে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে এসেছে সান্ডারল্যান্ড। শেফিল্ডের ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হতে আজকের ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর প্রিমিয়ার লিগের টিকিটি পেতে দুদল ওয়েম্বলিতে ফাইনালে লড়বে আগামী ২৪ মে।

গতকালের ম্যাচে শেফিল্ড বল দখলে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে তটস্থ রেখেছিল ব্রিস্টলের রক্ষণভাগকে। তবে গোল পেতে শেফিল্ডকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৪১ মিনিট পর্যন্ত। হ্যারিসন ব্যারোসের কর্নারে দারুণ এক হেডে ব্রিস্টল গোলকিপার ম্যাক্স ও’লেরিকে পরাস্তা করেন কিফার মুর।

শেফিল্ড দ্বিতীয় গোলটাও পেয়েছে কর্নার থেকেই। ম্যাচের ৫২ মিনিটে পাওয়া সে কর্নারে শট এবারও শট নিয়েছেন ব্যারোস। ইংলিশ লেফট ব্যাকের মাটি কামড়ানো কর্নারে দৃষ্টিনন্দন ডামি করেন আন্দ্রে ব্রুকস। বল যায় ডি বক্সের মাথায় থাকা গুস্তাভো হ্যামারের সামনে। সেখান থেকে জোরালো শট নেন ডাচ মিডফিল্ডার। হ্যামারের শট ব্রিস্টলের স্কটিশ রাইটব্যাক রস ম্যাকরির পায়ে লেগে দিক বদলে আশ্রয় নেয় জালে। তাতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় শেফিল্ড।

ম্যাচের শেষ পর্যায়ে ব্যবধানটাকে আরও বাড়ান ক্যালাম ও’হেয়ার। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট আগে ইংলিশ স্ট্রাইকার টাইরেস ক্যাম্পবেল ম্যাচের বাঁপ্রান্ত থেকে ক্রস করেন বক্সে। এবার ডামি করেন ব্যারোস। তাতে বিভ্রান্ত হয়ে যান কভেন্ট্রির সেন্টার ব্যাক জ্যাক ভাইনার। বক্সের ভেতর অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে সহজ ট্যাপ ইনে গোল করেন ও’হেয়ার।

আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও বাংলাদেশি তারকা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে রাইটব্যাক পজিশনে খেলিয়েছেন কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার। যথারীতি দারুণ পারফরম্যান্সের কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন হামজা। ৪৪টি পাস দিয়েছেন বাংলাদেশি মিডফিল্ডার, যার ৪১টি ছিল নিখুঁত। ফাইনাল থার্ডে পাস দিয়েছেন ৪টি। ৫ বার ট্যাকল করে ৪ বারই সফল হয়েছেন। একবার বিপজ্জনক বল ক্লিয়ার করেছেন। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়েছেন আরও দুবার। ফুটবলের পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ফুটমবে হামজার এ ম্যাচের রেটিং ছিল ৭.৫!