ইসরায়েলি হামলার শিকার ৩৬ হাসপাতাল

- আপডেট সময় : ০৪:০৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েল কমপক্ষে ৩৬টি হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় হাসপাতালে হামলা ইসরায়েলের বোমা হামলার ধারাবাহিকতার সর্বশেষ ঘটনা।
যদিও ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুসারে এই ধরনের আক্রমণকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো হাসপাতালে হামলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হাসপাতালে ভয়াবহ আক্রমণের বর্ণনা দেয়া হলো—
আল-আহলি হাসপাতাল: ২০২৩ সালের অক্টোবরে এক হামলায় হাসপাতালের গাড়ি পার্কিংয়ে আশ্রয় নেওয়া শত শত মানুষ নিহত হন। ঘটনার আগের দিনগুলোতে, হাসপাতালের পরিচালক ইসরায়েলের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
আল-আওদা হাসপাতাল: ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) এর ডা. মাহমুদ আবু নুজাইলা, ডা. আহমেদ আল-সাহার এবং আরেকজন চিকিৎসক জিয়াদ আল-তাতারি নিহত হন। পরের মাসে ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালে অভিযান চালায় এবং ডা. আদনান আল বুরশকে আটক করে, যিনি পরে ইসরায়েলি হেফাজতে মারা যান।
আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স: ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটিতে হামলা চালায়। তিনজন চিকিৎসা কর্মীসহ কমপক্ষে ২৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে দখলদাররা এবং এটিকে অকার্যকর করে ফেলে। জাতিসংঘের মতে, গত বছরের মার্চ মাসে তারা দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালটিতে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২২ জনকে হত্যা করে। পরে সেখানে তিনটি গণকবর পাওয়া যায় এবং উদ্ধার করা হয় কমপক্ষে ৮০টি মৃতদেহ।
নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স: গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলি বাহিনী এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে অবরোধ করে রাখে, ঘটনাস্থলে আসা কয়েক ডজন মানুষকে হত্যা করে এবং তারপর সেখানে হামলা চালিয়ে গ্রেপ্তার করে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে। অবরোধের সময় কমপক্ষে আটজন রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। এ বছর, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ড এবং সেখানে একটি মিডিয়া তাঁবুতেও বোমা হামলা চালায়, যার ফলে বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
কামাল আদওয়ান হাসপাতাল: গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতালে অবরোধ ও অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে এবং ২৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করে, যার মধ্যে এর পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়াও রয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার (১৩ মে)মধ্যরাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে। এতে কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন উত্তর গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় এবং নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা একজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৩০ জনকে হত্যা করার কয়েক ঘন্টা পর সর্বশেষ হামলা হয়। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে গাজার দুটি হাসপাতালে। সূত্র: আল জাজিরা