টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দীর গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ

- আপডেট সময় : ১১:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি প্রশাসন। আজ (বুধবার, ১৪ মে) দুপুরে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর মৃত্যুতে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ১৫ মে) শোক দিবসের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর মৃত্যুতে আগামীকাল দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার বিষয়েও জরুরি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে:
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে।
২. আগামীকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তল্লাশি অভিযান চলবে।
৩. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে রমনা পার্কের মতো স্থায়ী উন্নয়নের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে শিগগিরই একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হবে।
এই কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডিএমপি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কালী মন্দির কর্তৃপক্ষ ও বাংলা একাডেমির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
৪. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও লাইটের ব্যবস্থা করা হবে। অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি পুলিশ বক্সও স্থাপন করা হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে একটি নিরাপদ পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বৈঠকে।