ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এ মাসের শেষে সাগরে নিম্নচাপের শঙ্কা, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মে মাস তাপপ্রবাহ, বজ্রবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ের মাস। এ সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রাণহানির ঘটনাও বেশি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিল থেকে জুন কর্কটক্রান্তি রেখার আশপাশে তাপ তীব্র থাকে। তাই বজ্রপাত ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা বাড়ে। গেল পাঁচ বছরে পাঁচটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে এ মাসে। এবারও ২৩ মে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

মে মাসে সূর্যের উত্তরায়ণ ঘটে। সূর্য মাথার ওপর থাকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত। আফ্রিকা, সৌদি আরব-ভারতের মরু অঞ্চলের সমান্তরালে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে গেছে কর্কটক্রান্তি রেখা। তাই এ রেখার আশপাশের এলাকায় সূর্যের তাপ প্রখর হয়।

এপ্রিল-মে মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর ও মধ্য প্রদেশ থেকে বয়ে আসে শুষ্ক বাতাস। এর প্রবেশ মুখেই পড়ে চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর-কুষ্টিয়াসহ দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চল। এই লু হাওয়ার সঙ্গে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতি করে তোলে ভয়াবহ। এ সময় পারদ উঠে যায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তবে এ বছর সারা দেশেই চরম ভাবাপন্ন হয়ে আছে আবহাওয়া।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘পশ্চিম দিক থেকে আসা লু হাওয়া, ভৌগোলিক অবস্থান, কর্কটক্রান্তি রেখার অবস্থান, সূর্যের রোদের প্রখর প্রাপ‌্যতা, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান, জলীয় বাষ্পের আধিক্য এবং বায়ুর গতিবেগ যদি কম থাকে তাহলে এই অঞ্চলের যে চরমভাবাপন্ন তাপমাত্রা, সেটি অসহনীয় হয়ে ওঠে।’

মে মাসে হানা দেয় ঘূর্ণিঝড়। ২০১৯ থেকে ছয় বছরে ঘূর্ণিঝড় ফণী, আম্ফান, ইয়াস, মোখা ও রেমাল আঘাত হানে। এ বছরও মে মাসের শেষে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘নিম্নচাপ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা তা বলা উচিত হবে না বলে আমরা মনে করি। কারণ অনেক সময় নিম্নচাপ তৈরি হয়ে আবার তার ঘনীভূত হতে পারে। তবে আমরা আশঙ্কা করছি এ ধরনের পদ্ধতির সমূহের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় রূপ নেয়, তাহলে এটির নাম হবে শক্তি।’

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়। তাই বজ্রঝড়ের শুরুতেই খোলা স্থান ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ মাসের শেষে সাগরে নিম্নচাপের শঙ্কা, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়

আপডেট সময় : ০৪:২২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মে মাস তাপপ্রবাহ, বজ্রবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ের মাস। এ সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রাণহানির ঘটনাও বেশি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিল থেকে জুন কর্কটক্রান্তি রেখার আশপাশে তাপ তীব্র থাকে। তাই বজ্রপাত ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা বাড়ে। গেল পাঁচ বছরে পাঁচটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে এ মাসে। এবারও ২৩ মে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

মে মাসে সূর্যের উত্তরায়ণ ঘটে। সূর্য মাথার ওপর থাকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত। আফ্রিকা, সৌদি আরব-ভারতের মরু অঞ্চলের সমান্তরালে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে গেছে কর্কটক্রান্তি রেখা। তাই এ রেখার আশপাশের এলাকায় সূর্যের তাপ প্রখর হয়।

এপ্রিল-মে মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর ও মধ্য প্রদেশ থেকে বয়ে আসে শুষ্ক বাতাস। এর প্রবেশ মুখেই পড়ে চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর-কুষ্টিয়াসহ দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চল। এই লু হাওয়ার সঙ্গে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতি করে তোলে ভয়াবহ। এ সময় পারদ উঠে যায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তবে এ বছর সারা দেশেই চরম ভাবাপন্ন হয়ে আছে আবহাওয়া।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘পশ্চিম দিক থেকে আসা লু হাওয়া, ভৌগোলিক অবস্থান, কর্কটক্রান্তি রেখার অবস্থান, সূর্যের রোদের প্রখর প্রাপ‌্যতা, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান, জলীয় বাষ্পের আধিক্য এবং বায়ুর গতিবেগ যদি কম থাকে তাহলে এই অঞ্চলের যে চরমভাবাপন্ন তাপমাত্রা, সেটি অসহনীয় হয়ে ওঠে।’

মে মাসে হানা দেয় ঘূর্ণিঝড়। ২০১৯ থেকে ছয় বছরে ঘূর্ণিঝড় ফণী, আম্ফান, ইয়াস, মোখা ও রেমাল আঘাত হানে। এ বছরও মে মাসের শেষে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘নিম্নচাপ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা তা বলা উচিত হবে না বলে আমরা মনে করি। কারণ অনেক সময় নিম্নচাপ তৈরি হয়ে আবার তার ঘনীভূত হতে পারে। তবে আমরা আশঙ্কা করছি এ ধরনের পদ্ধতির সমূহের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় রূপ নেয়, তাহলে এটির নাম হবে শক্তি।’

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়। তাই বজ্রঝড়ের শুরুতেই খোলা স্থান ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের।