ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এবার চীনের সঙ্গে বিরোধে জড়াল ভারত!

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি স্থানের নতুন নাম ঘোষণা করে সেগুলোকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। এই পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে চীনের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে একে ‘অকার্যকর ও হাস্যকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, হিন্দুস্তান টাইমস।

চীনের সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয় গত ১১ ও ১২ মে অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে তা প্রকাশ করে। এসব নামকরণ চীনা ভাষায় করা হয় এবং অঞ্চলগুলোকে বেইজিংয়ের “জাংনান” নামে চিহ্নিত করা হয়—যা চীন অরুণাচলকে বোঝাতে ব্যবহার করে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফ জানায়, চীন অরুণাচলের বিভিন্ন স্থানকে নতুন করে নাম দিয়ে আন্তর্জাতিক সত্যকে অস্বীকার করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। এ ধরনের পদক্ষেপে কোনো পরিবর্তন হবে না।

এর আগেও একাধিকবার ভারতের ভেতরের অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে চীন নামকরণ করেছে। ২০১৭ সালে প্রথম ছয়টি স্থানের নাম প্রকাশ করে চীন। এরপর ২০২১ সালে ১৫টি, ২০২৩ সালে ১১টি এবং ২০২৪ সালের এপ্রিলে আরও ৩০টি স্থানের নাম ঘোষণা করা হয়।

২০২৪ সালের তালিকায় পাহাড়, নদী, হ্রদ, পর্বত গিরিপথ, আবাসিক এলাকা ও জমিসহ বিভিন্ন ভূ-অবস্থান অন্তর্ভুক্ত ছিল। চীনা কর্তৃপক্ষ এসব স্থানের অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশসহ হাই রেজুলেশন মানচিত্রও প্রকাশ করে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরের মতোই এসব দাবিকে ‘অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে। দিল্লির অবস্থান পরিষ্কার—সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ এবং চীনের পুনঃনামকরণের মাধ্যমে সে বাস্তবতা পাল্টাবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই ধারাবাহিক নামকরণ প্রচেষ্টা কূটনৈতিক চাপ তৈরি ও এলএসি (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের অংশ হতে পারে। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এমন যেকোনো প্রচেষ্টাকে কৌশলগতভাবে মোকাবিলা করছে।

এদিকে, পাক-ভারত সংঘাত পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে চীন পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে। যা ভারতের জন্য আরও এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে চীনের এই সহযোগিতার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। এই উত্তেজনা ভারতকে একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এবার চীনের সঙ্গে বিরোধে জড়াল ভারত!

আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি স্থানের নতুন নাম ঘোষণা করে সেগুলোকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। এই পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে চীনের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে একে ‘অকার্যকর ও হাস্যকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, হিন্দুস্তান টাইমস।

চীনের সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয় গত ১১ ও ১২ মে অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে তা প্রকাশ করে। এসব নামকরণ চীনা ভাষায় করা হয় এবং অঞ্চলগুলোকে বেইজিংয়ের “জাংনান” নামে চিহ্নিত করা হয়—যা চীন অরুণাচলকে বোঝাতে ব্যবহার করে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফ জানায়, চীন অরুণাচলের বিভিন্ন স্থানকে নতুন করে নাম দিয়ে আন্তর্জাতিক সত্যকে অস্বীকার করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। এ ধরনের পদক্ষেপে কোনো পরিবর্তন হবে না।

এর আগেও একাধিকবার ভারতের ভেতরের অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে চীন নামকরণ করেছে। ২০১৭ সালে প্রথম ছয়টি স্থানের নাম প্রকাশ করে চীন। এরপর ২০২১ সালে ১৫টি, ২০২৩ সালে ১১টি এবং ২০২৪ সালের এপ্রিলে আরও ৩০টি স্থানের নাম ঘোষণা করা হয়।

২০২৪ সালের তালিকায় পাহাড়, নদী, হ্রদ, পর্বত গিরিপথ, আবাসিক এলাকা ও জমিসহ বিভিন্ন ভূ-অবস্থান অন্তর্ভুক্ত ছিল। চীনা কর্তৃপক্ষ এসব স্থানের অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশসহ হাই রেজুলেশন মানচিত্রও প্রকাশ করে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরের মতোই এসব দাবিকে ‘অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে। দিল্লির অবস্থান পরিষ্কার—সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ এবং চীনের পুনঃনামকরণের মাধ্যমে সে বাস্তবতা পাল্টাবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই ধারাবাহিক নামকরণ প্রচেষ্টা কূটনৈতিক চাপ তৈরি ও এলএসি (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের অংশ হতে পারে। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এমন যেকোনো প্রচেষ্টাকে কৌশলগতভাবে মোকাবিলা করছে।

এদিকে, পাক-ভারত সংঘাত পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে চীন পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে। যা ভারতের জন্য আরও এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে চীনের এই সহযোগিতার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। এই উত্তেজনা ভারতকে একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।