পাকিস্তানের ‘চমকপ্রদ সাফল্যের’ ভূয়সী প্রশংসা আজারবাইজানের

- আপডেট সময় : ০৪:২৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ প্রধানমন্ত্রী শেহবাজকে পাকিস্তানের ‘চমকপ্রদ সাফল্যের’ জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান। ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার সময় আজারবাইজানের ‘দৃঢ় সমর্থনের’ জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে এক টেলিফোন আলাপের সময় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক সংকটকালে পাকিস্তানের পাশে ‘দৃঢ়ভাবে থাকার’ জন্য প্রেসিডেন্ট আলিয়েভকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানান বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তিনি প্রেসিডেন্ট আলিয়েভের এই অবিচল সমর্থনকে ‘পাকিস্তানের জনগণের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ও মমতার আরেকটি নিদর্শন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ প্রধানমন্ত্রী শেহবাজকে পাকিস্তানের ‘চমকপ্রদ সাফল্যের’ জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। প্রেসিডেন্ট ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সমঝোতাকে স্বাগত জানান এবং শান্তির জন্য পাকিস্তানের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন। খবর দ্য ডনের।
তিনি আবারও নিশ্চিত করেন যে, আজারবাইজান পাকিস্তানের সঙ্গে তার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ককে সব ক্ষেত্রে জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ আজারবাইজানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকেও পাকিস্তানের প্রতি তাদের ব্যাপক সংহতির জন্য ধন্যবাদ জানান।
এদিকে, ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আজারবাইজানের পাকিস্তানপন্থি অবস্থানের বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি না দিলেও, নয়াদিল্লির ভেতরে এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
আজারবাইজান ও তুরস্কের পাকিস্তানপন্থি অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে। ভারতীয় শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা সামাজিক মাধ্যমে তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভ্রমণ বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত বছর ভারতীয় পর্যটকরা এই দুই দেশে ৪,০০০ কোটি রুপির বেশি ব্যয় করেছেন।
এই আহ্বানের ফলে ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভ্রমণের আগ্রহ কমে গেছে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, এই দুই দেশে বুকিং ৬০ শতাংশ কমে গেছে এবং ট্যুর বাতিলের হার ২৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংঘ আরএসএস-সম্পর্কিত স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ ইতোমধ্যে তুরস্ক ও আজারবাইজানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, বিমান চলাচল বন্ধ এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
আজারবাইজান দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন দিয়ে আসছে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে এই সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন ।
যদিও ভারত সরকার আজারবাইজানের পাকিস্তানপন্থি অবস্থানের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ভারতের নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী মহল এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন খাতে এই প্রতিক্রিয়ার প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।