ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কুমিল্লায় নামসর্বস্ব হাসপাতালের ছড়াছড়ি, সরকারি সেবাও দালাল নির্ভর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভুল চিকিৎসায় পা হারাল এসএসসি পরীক্ষার্থী, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন প্রসূতি মায়েরা। চিকিৎসক না হয়েও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের জিম্মি করে আদায় করছেন টাকা। এই চিত্র কুমিল্লা জেলার স্বাস্থ্যসেবার। সেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব হাসপাতাল। সরকারি হাসপাতালের সেবাও হয়ে গেছে সম্পূর্ণ দালাল নির্ভর।

ঢাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা। প্রবাসী আয়ে আমূল বদলেছে জেলার অর্থনীতি। তবে এখনও অন্ধকারেই রয়ে গেছে এখানকার স্বাস্থ্য সেবা।

দেবিদ্বার উপজেলার যুক্তগ্রামে প্রসূতি মুক্তা সরকারের মৃত্যুর খবরে আহাজারিতে ভারী পুরো গ্রাম। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, চিকিৎসক আর হাসপাতালের অবহেলাতেই এ মৃত্যু হয়েছে।

মুক্তার সিজার হয় দেবিদ্বারের স্কয়ার হাসপাতালে। পরিবার জানায়, এ ঘটনার দায় নিতে চায় না হাসপাতালটি।

আবার নাজমুলের পা হারানোর ক্ষেত্রেও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবার জানায়, এ ভুল চিকিৎসার জন্য এবারের এসএসসি পরীক্ষাই দিতে পারেনি সে।

হাসপাতালে আসা ভুক্তভোগীরা জানান, একেকটি উপজেলায় অর্ধশতের বেশি হাসপাতাল-ক্লিনিক। অধিকাংশই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম মানে না। নরমাল ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে করা হয় সিজার। এমন পরিস্থিতি শুধুই যে বেসরকারি হসাপাতালে তা নয়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিত্র আরও ভয়াবহ। দালালেরা রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছে অন্য হাসপাতালে, অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হাসপাতালের।

হাসপাতালের নানা অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে জনবল সংকটের অজুহাত দেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ।

এদিকে কুমিল্লার সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ দাবি করেছেন, হাসপাতাল বা রোগী বা সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুমিল্লায় নামসর্বস্ব হাসপাতালের ছড়াছড়ি, সরকারি সেবাও দালাল নির্ভর

আপডেট সময় : ০৩:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ভুল চিকিৎসায় পা হারাল এসএসসি পরীক্ষার্থী, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন প্রসূতি মায়েরা। চিকিৎসক না হয়েও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের জিম্মি করে আদায় করছেন টাকা। এই চিত্র কুমিল্লা জেলার স্বাস্থ্যসেবার। সেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব হাসপাতাল। সরকারি হাসপাতালের সেবাও হয়ে গেছে সম্পূর্ণ দালাল নির্ভর।

ঢাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা। প্রবাসী আয়ে আমূল বদলেছে জেলার অর্থনীতি। তবে এখনও অন্ধকারেই রয়ে গেছে এখানকার স্বাস্থ্য সেবা।

দেবিদ্বার উপজেলার যুক্তগ্রামে প্রসূতি মুক্তা সরকারের মৃত্যুর খবরে আহাজারিতে ভারী পুরো গ্রাম। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, চিকিৎসক আর হাসপাতালের অবহেলাতেই এ মৃত্যু হয়েছে।

মুক্তার সিজার হয় দেবিদ্বারের স্কয়ার হাসপাতালে। পরিবার জানায়, এ ঘটনার দায় নিতে চায় না হাসপাতালটি।

আবার নাজমুলের পা হারানোর ক্ষেত্রেও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবার জানায়, এ ভুল চিকিৎসার জন্য এবারের এসএসসি পরীক্ষাই দিতে পারেনি সে।

হাসপাতালে আসা ভুক্তভোগীরা জানান, একেকটি উপজেলায় অর্ধশতের বেশি হাসপাতাল-ক্লিনিক। অধিকাংশই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম মানে না। নরমাল ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে করা হয় সিজার। এমন পরিস্থিতি শুধুই যে বেসরকারি হসাপাতালে তা নয়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিত্র আরও ভয়াবহ। দালালেরা রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছে অন্য হাসপাতালে, অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হাসপাতালের।

হাসপাতালের নানা অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে জনবল সংকটের অজুহাত দেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ।

এদিকে কুমিল্লার সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ দাবি করেছেন, হাসপাতাল বা রোগী বা সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।