ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দাম কমলেও খাদ্য সংকটের শঙ্কা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংঘাত, ভূ-রাজনীতি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেই জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্যসহ যাবতীয় নিত্যপণ্যের দাম কমছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। তবে খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও রয়ে গেছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি। অন্যদিকে খনিজ পণ্য ও বেশিরভাগ মূল্যবান ধাতুর দাম কমলেও ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে চলছে সংঘাত উত্তেজনা। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির হানা। সবমিলিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্য সরবরাহ অস্থিরতায় জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্যসহ যাবতীয় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্বের পণ্য বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের পর্যালোচনায় ওঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, ২০২৫ সালের শুরুতে বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিম্নমুখী। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যাবতীয় পণ্যের দাম দুই শতাংশ বাড়লেও, এপ্রিল মাসে কমেছে ছয় শতাংশ।

এ হারে দাম কমতে থাকলে, মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের পর দেখা যাবে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের গড় স্তরের চেয়েও কমেছে পণ্যের দাম। আর করোনা মহামারির পর প্রথমবারের মতো হবে সবচেয়ে বড় পতন।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে ২২টি দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন। এ অবস্থায় ২০২৫ ও ২০২৬ সালে খাদ্যপণ্যের আরও কমার সম্ভাবনা থাকলেও, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কমার সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্ব ব্যাংকের গবেষকরা।

এদিকে চলতি মে মাসের শুরুতে সবচেয়ে ভালো মানের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে ব্যারেল প্রতি নেমে আসে ৬০ ডলারে। যা ২০২৪ সালে ছিল ৮০ ডলারের বেশি। প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য সূচকও ১৪ শতাংশ কমেছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।

চাহিদার সম্ভাবনা দুর্বল হওয়ায় মূল্যবান ধাতু ও খনিজ পণ্যের দামও কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং মার্কিন শুল্ক নীতির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় গাড়ি এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে ব্যবহৃত ধাতুর মূল্য কমেছে সবচেয়ে বেশি। তবে রেকর্ড হারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সঞ্চয় প্রবণতা অব্যাহত থাকলে স্বর্ণের দাম ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে আরও বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ২০১৫-১৯ সালের তুলনায় স্বর্ণের দাম ১৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়া শঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দাম কমলেও খাদ্য সংকটের শঙ্কা

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

সংঘাত, ভূ-রাজনীতি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেই জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্যসহ যাবতীয় নিত্যপণ্যের দাম কমছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। তবে খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও রয়ে গেছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি। অন্যদিকে খনিজ পণ্য ও বেশিরভাগ মূল্যবান ধাতুর দাম কমলেও ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে চলছে সংঘাত উত্তেজনা। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির হানা। সবমিলিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্য সরবরাহ অস্থিরতায় জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্যসহ যাবতীয় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্বের পণ্য বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের পর্যালোচনায় ওঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, ২০২৫ সালের শুরুতে বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিম্নমুখী। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যাবতীয় পণ্যের দাম দুই শতাংশ বাড়লেও, এপ্রিল মাসে কমেছে ছয় শতাংশ।

এ হারে দাম কমতে থাকলে, মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের পর দেখা যাবে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের গড় স্তরের চেয়েও কমেছে পণ্যের দাম। আর করোনা মহামারির পর প্রথমবারের মতো হবে সবচেয়ে বড় পতন।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে ২২টি দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন। এ অবস্থায় ২০২৫ ও ২০২৬ সালে খাদ্যপণ্যের আরও কমার সম্ভাবনা থাকলেও, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কমার সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্ব ব্যাংকের গবেষকরা।

এদিকে চলতি মে মাসের শুরুতে সবচেয়ে ভালো মানের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে ব্যারেল প্রতি নেমে আসে ৬০ ডলারে। যা ২০২৪ সালে ছিল ৮০ ডলারের বেশি। প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য সূচকও ১৪ শতাংশ কমেছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।

চাহিদার সম্ভাবনা দুর্বল হওয়ায় মূল্যবান ধাতু ও খনিজ পণ্যের দামও কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং মার্কিন শুল্ক নীতির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় গাড়ি এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে ব্যবহৃত ধাতুর মূল্য কমেছে সবচেয়ে বেশি। তবে রেকর্ড হারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সঞ্চয় প্রবণতা অব্যাহত থাকলে স্বর্ণের দাম ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে আরও বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ২০১৫-১৯ সালের তুলনায় স্বর্ণের দাম ১৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়া শঙ্কা করা হচ্ছে।