ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারের দ্বৈতনীতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে: জোনায়েদ সাকি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকারের দ্বৈতনীতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে—একদিকে কাউকে ছাড়, অন্যদিকে কাউকে দমন করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘ভারতের নদী আগ্রাসন প্রতিহত করুন, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার’ দাবিতে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ২১ মে ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, পাকিস্তান আমলে বাঁধ নির্মাণ শুরু হলেও স্বাধীনতার পরও ভারত একতরফাভাবে সেটি চালু রেখেছে। এরপর থেকে বাংলাদেশের সরকারগুলো দেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার সংস্কার একসঙ্গে চলবে—এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত রোডম্যাপ। নির্বাচন প্রলম্বিত না করে সময়মতো আয়োজন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করে সরকারের দায়িত্বশীলতা প্রমাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সরকারের দ্বৈতনীতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে—একদিকে কাউকে ছাড়, অন্যদিকে কাউকে দমন করা হচ্ছে।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আর ভারতের কোনো ধরনের আধিপত্য মেনে নেবে না। দাসত্বের যুগ শেষ, এখন সময় এসেছে মর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ার। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবশ্যই সম্পর্ক থাকবে, তবে তা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে, কোনো পক্ষের অধিকার হরণ করে নয়।’

ভারতীয় আধিপত্যবাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জনগণ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, এখন আবার সময় এসেছে নতুন করে এক হওয়ার—একটি ন্যায্য ও সাহসী রাষ্ট্রীয় অবস্থান গড়ে তোলার। আজকের ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে, জনগণের অধিকার হরণ করছে। তবে সেই গদি আজ জনগণই উল্টে দিয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে তিনি বলেন, এই বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া জনসম্মতি ছাড়াই চলছে। কোন পদ্ধতিতে এটি হচ্ছে, তা জনগণকে জানানো হচ্ছে না। এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়, তরিকুল সুজন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারের দ্বৈতনীতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে: জোনায়েদ সাকি

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকারের দ্বৈতনীতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে—একদিকে কাউকে ছাড়, অন্যদিকে কাউকে দমন করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘ভারতের নদী আগ্রাসন প্রতিহত করুন, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার’ দাবিতে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ২১ মে ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, পাকিস্তান আমলে বাঁধ নির্মাণ শুরু হলেও স্বাধীনতার পরও ভারত একতরফাভাবে সেটি চালু রেখেছে। এরপর থেকে বাংলাদেশের সরকারগুলো দেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার সংস্কার একসঙ্গে চলবে—এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত রোডম্যাপ। নির্বাচন প্রলম্বিত না করে সময়মতো আয়োজন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করে সরকারের দায়িত্বশীলতা প্রমাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সরকারের দ্বৈতনীতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে—একদিকে কাউকে ছাড়, অন্যদিকে কাউকে দমন করা হচ্ছে।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আর ভারতের কোনো ধরনের আধিপত্য মেনে নেবে না। দাসত্বের যুগ শেষ, এখন সময় এসেছে মর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ার। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবশ্যই সম্পর্ক থাকবে, তবে তা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে, কোনো পক্ষের অধিকার হরণ করে নয়।’

ভারতীয় আধিপত্যবাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জনগণ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, এখন আবার সময় এসেছে নতুন করে এক হওয়ার—একটি ন্যায্য ও সাহসী রাষ্ট্রীয় অবস্থান গড়ে তোলার। আজকের ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে, জনগণের অধিকার হরণ করছে। তবে সেই গদি আজ জনগণই উল্টে দিয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে তিনি বলেন, এই বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া জনসম্মতি ছাড়াই চলছে। কোন পদ্ধতিতে এটি হচ্ছে, তা জনগণকে জানানো হচ্ছে না। এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়, তরিকুল সুজন প্রমুখ।