ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলোচিত মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনজন খালাস পেয়েছেন। খালাস পেয়েছেন হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, ছেলে সজীব ও রাতুল শেখ।

আজ সকালে রায় ঘোষণার আগে আসামিদের আদালতে আনা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। অন্যদিকে গেলো ১৩ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ১৩ মে মামলার বিচারিক কার্যক্রম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায়ের দিন ধার্য করেন। মাত্র ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় আলোচিত এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম ও ১৩ কার্যদিবসে রায় হলো।

এ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি, মেডিকেল রিপোর্ট, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য এবং মামলার মৌখিক ও দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাক্ষ্য ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে প্রধান আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে শিশু নির্যতন দমন মামলার রায় আইনের ৯ এবং ২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় স্বজনদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। যেখানে এ ঘটনায় সে একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়। ১৩ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোনজামাই সজীব শেখ ও সজীবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩ এপ্রিল চার্জ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ২৭ এপ্রিল বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে সাক্ষীর কার্যক্রম শুরু হয়ে ৭ মে অষ্টম কার্যদিবসের মধ্যে সাক্ষ্য পর্ব শেষ হয়। ৮ মে আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ছাড়া ১২ ও ১৩ মে যুক্তিতর্ক শেষে ১৭ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত।

গত ১ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী আছিয়া। ৫ মার্চ রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ওই শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা ৮ মার্চ বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ১০:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

আলোচিত মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনজন খালাস পেয়েছেন। খালাস পেয়েছেন হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, ছেলে সজীব ও রাতুল শেখ।

আজ সকালে রায় ঘোষণার আগে আসামিদের আদালতে আনা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। অন্যদিকে গেলো ১৩ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ১৩ মে মামলার বিচারিক কার্যক্রম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায়ের দিন ধার্য করেন। মাত্র ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় আলোচিত এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম ও ১৩ কার্যদিবসে রায় হলো।

এ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি, মেডিকেল রিপোর্ট, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য এবং মামলার মৌখিক ও দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাক্ষ্য ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে প্রধান আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে শিশু নির্যতন দমন মামলার রায় আইনের ৯ এবং ২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় স্বজনদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। যেখানে এ ঘটনায় সে একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়। ১৩ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোনজামাই সজীব শেখ ও সজীবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩ এপ্রিল চার্জ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ২৭ এপ্রিল বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে সাক্ষীর কার্যক্রম শুরু হয়ে ৭ মে অষ্টম কার্যদিবসের মধ্যে সাক্ষ্য পর্ব শেষ হয়। ৮ মে আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ছাড়া ১২ ও ১৩ মে যুক্তিতর্ক শেষে ১৭ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত।

গত ১ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী আছিয়া। ৫ মার্চ রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ওই শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা ৮ মার্চ বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করে।