আসছে বাজেটে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৪:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

আসছে বাজেটে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ (রোববার, ১৮ মে) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা জানান।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যদি সংশোধিত বাজেটের সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনা করি; তাহলে কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সংশোধিত চলতি বাজেটের আকারের চেয়ে বড় হবে। প্রায় সব খাতেই সংশোধিত বাজেট থেকে প্রস্তাবিত বাজেটের বরাদ্দ, উন্নয়ন বাজেটও একটু বেশি। খুব সম্ভবত শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বেশি।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে অতটা বাড়ানো যায়নি। কারণ স্বাস্থ্যের সমস্যাটা ছিলো, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অনেক অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো কোথাও চালু নেই, কোথাও ডাক্তার নেই, কোথাও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম নেই। সেগুলো বরং পরিচালন বাজেটে মানে রাজস্ব বাজেটে সেটা প্রতিফলিত হবে।’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘ঘাটতি বাজেট দিয়ে তা পূরণে ঋণ নিয়ে জনগণের কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দেয়া যাবে না। তাই আসছে বাজেট ছোট হবে। ঋণ পরিশোধের দায় আছে। ভর্তুকি কমানো যাবে না। এবারের বাজেট শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট।’
এবারের বাজেটে মূল্যস্ফিতি কমিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপির আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে একনেক বৈঠকে।’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘টাকা ছাপিয়ে যে খরচ হয় তা মূল্যস্ফীতির উপর চাপ ফেলে। এবারের বাজেটে দায়িত্ব জ্ঞানহীন কোনোকিছু করা হবে না। সরকার আর নতুন করে মেগাপ্রকল্প হাতে নেবে না। চলমান প্রকল্পগুলোতে অর্থের অপচয় এবং অনিয়ম বন্ধে সরকার তৎপর থাকবে।’
সরকারের কষ্ট হলেও জ্বালানির বকেয়াগুলো পরিশোধ করে দেয়া হচ্ছে। সরকার বকেয়া শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় বলেও জানান তিনি।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা, টেকশই ব্যবস্থাপনাই এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য। ঋণের ফাঁদে যেন না পড়ে দেশ, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে সরকার। চেষ্টা থাকবে রাজস্ববৃদ্ধি ও বাজেটের ঘাটতি কমানো।’
তিনি বলেন, ‘টাকা ছাপিয়ে ব্যয় করার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। মেগা প্রকল্প নেয়া হচ্ছে না। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এবারের বাজেটকে ছোটো নয়, বরং বাস্তবসম্মত করা হচ্ছে। চলমান প্রকল্পগুলোকে শেষ করতে গিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বাড়তি নজর দেয়া যায়নি।’