পেরুসহ লাতিন আমেরিকান পাঁচ দেশের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে চীন। যা দেশটি সফরে ব্যাপক আগ্রহী করে তুলেছে পর্যটকদের। এছাড়াও চীনের সঙ্গে দেশগুলোর নতুন বাণিজ্যিক, শিক্ষা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চীনা সরকারের এই উদ্যোগকে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাইলফলক হিসেবে দেখছে লাতিন দেশগুলো।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলি, পেরু ও উরুগুয়ের সাধারণ পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই চীন ভ্রমণ করতে পারবেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ১ জুন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চালু হচ্ছে। এই পাঁচটি দেশের নাগরিকেরা ব্যবসা, পর্যটন, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পরিদর্শনের জন্য বিনা ভিসায় চীন যেতে পারবেন। তবে তারা ৩০ দিনের বেশি দেশটিতে অবস্থান করতে পারবেন না।
চীনের এমন ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার ওই পাঁচ দেশের পর্যটকদের মধ্যে চীন ভ্রমণে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ভিসা-মুক্ত নীতির এ পদক্ষেপকে দুই দেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন বৃদ্ধির সুযোগ হিসেবে দেখছেন পেরুর বাসিন্দারা।
পেরুর বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘এই নীতির ফলে চীনের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরো জানার এবং ব্যবসার অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
আরেকজন বলেন, ‘চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও তাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দেখার সুযোগ ঘটবে পেরুর বাসিন্দাদের।’
ব্যবসায়ীদের মতে, এই উদ্যোগ বাণিজ্য, শিক্ষা ও বিনিয়োগের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে একটি বড় মাইলফলক। যা ব্যবসায়িক ভ্রমণকেও করবে সহজতর। এর মধ্য দিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারেরও আশা তাদের।
কমেক্স পেরুর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার লুসিয়ানো পারেদেস বলেন, ‘ভিসামুক্ত ৩০ দিনের ভ্রমণে ব্যবসায়িক কার্যক্রমও অন্তর্ভুক্ত। এটি বাণিজ্য ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গেল বছর, চীনের সঙ্গে পেরুর বাণিজ্য হয়েছে প্রায় ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তা বেড়েছে ৩২ শতাংশ। মানুষের এই অবাধ প্রবেশের সুযোগ নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত করবে।’
লাতিন অঞ্চলের শীর্ষ পাঁচটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও চিলি। গেল বছর প্রতিবেশী জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সেবা চালু করে চীন।