ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই সীমান্তে ভারতের পুশইন কিংবা পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নিতে না পারার কারণেই দেশটি এসব করছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে রপ্তানি পণ্যের নতুন বাজার এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় কৌশলগত অংশীদার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি হামলার মাঝেই, বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে মানুষকে ঠেলে দেয় ভারত। ১৫ মে পর্যন্ত ১১ দিনে এভাবে ৩৭০ জন ঢুকেছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও রোহিঙ্গা আর ভারতের নাগরিকও রয়েছে।

গত শনিবার (১৭ মে) স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। পরদিন প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাণিজ্য একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এতে দুই দেশের ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা জড়িত। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞায় উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে ভারতের ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হবে।’

বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) জাহেদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক নীতিবিরোধী এমন পদক্ষেপ দেশের জন্য অশনি সংকেত। তাঁর মতে, বাংলাদেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করে রাখার আকাঙ্ক্ষা থেকেই, সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছে দিল্লি।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) শামীম কামাল বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দিল্লি সহ্য করতে চাইছে না। এসব ঠেকাতে, কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো এবং জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে হবে।

সমতা ও সম্মানবোধের জায়গা থেকে ভারত সম্পর্ক গড়ায় উদ্যোগী হলেই কেবল, দুদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন কমতে পারে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

আপডেট সময় : ০১:০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই সীমান্তে ভারতের পুশইন কিংবা পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নিতে না পারার কারণেই দেশটি এসব করছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে রপ্তানি পণ্যের নতুন বাজার এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় কৌশলগত অংশীদার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি হামলার মাঝেই, বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে মানুষকে ঠেলে দেয় ভারত। ১৫ মে পর্যন্ত ১১ দিনে এভাবে ৩৭০ জন ঢুকেছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও রোহিঙ্গা আর ভারতের নাগরিকও রয়েছে।

গত শনিবার (১৭ মে) স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। পরদিন প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাণিজ্য একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এতে দুই দেশের ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা জড়িত। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞায় উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে ভারতের ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হবে।’

বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) জাহেদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক নীতিবিরোধী এমন পদক্ষেপ দেশের জন্য অশনি সংকেত। তাঁর মতে, বাংলাদেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করে রাখার আকাঙ্ক্ষা থেকেই, সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছে দিল্লি।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) শামীম কামাল বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দিল্লি সহ্য করতে চাইছে না। এসব ঠেকাতে, কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো এবং জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে হবে।

সমতা ও সম্মানবোধের জায়গা থেকে ভারত সম্পর্ক গড়ায় উদ্যোগী হলেই কেবল, দুদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন কমতে পারে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।