খুন করে কুমিরকে খাওয়াতেন দেহ

- আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

আয়ুর্বেদিক ডাক্তার থেকে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার। খুন করে কুমিরকে খাওয়াতেন দেহ। ‘ডক্টর ডেথ’ নামে কুখ্যাত এক সিরিয়াল কিলারকে গত রবিবার ভারতের রাজস্থানের দৌসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। রাজস্থানের এক আশ্রমে পুরোহিতের ছদ্মবেশে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন এই খুনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল এই অপরাধী। তারপর থেকেই উধাও। অন্তত ৫০ জনকে খুন করে, প্রমাণ লোপাটের জন্য কুমির ভর্তি খালে ফেলে দিতেন দেহ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। ২০২৩ সালে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বিএএমএস ডিগ্রিধারী ৬৭ বছর বয়সি দেবেন্দ্র শর্মা ওরফে ডক্টর ডেথের অপরাধ জীবনের কেচ্ছা পুরোনো। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বেআইনি কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে তার নাম জড়ায়। বেশ কয়েকটি রাজ্যে কর্মরত ডাক্তার এবং দালালদের সহায়তায় ১২৫টিরও বেশি অবৈধ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কথা স্বীকার করেছিল এই দেবেন্দ্র শর্মা। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বেশ কয়েকজন ট্যাক্সি ও ট্রাক চালককে নৃশংসভাবে হত্যার জন্য তিহাড় জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। ২০০৪ সালে কিডনির চক্র এবং সিরিয়াল হত্যা উভয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে, দিল্লি, রাজস্থান ও হরিয়ানায় সাতটি পৃথক হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং একটি মামলায় গুরুগ্রাম আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডও পেয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অন্তত ২৭টি খুন, অপহরণ ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তবে পুলিশের ধারণা, ৫০টিরও বেশি খুন করেছে সে। উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে কুমির-অধ্যুষিত হাজারা খালে খুন করে দেহ ফেলে লোপাট করে দেওয়ার জন্যই তার নাম শিরোনামে উঠে এসেছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের আগস্টে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে উধাও হয়ে যায় এই খুনি। তারপর থেকেই তার খোঁজ চলছিল। ক্রাইম ব্রাঞ্চকে তার সন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আলিগড়, জয়পুর, দিল্লি, আগ্রা এবং প্রয়াগরাজ সহ বেশ কয়েকটি শহরে ছয় মাসের দীর্ঘ অভিযানের পরে, তাকে রাজস্থানের দৌসার একটি আশ্রমে ট্র্যাক করে পুলিশ। যেখানে তিনি মিথ্যা পরিচয়ে পুরোহিত হিসাবে নিজেকে জাহির করেছিলেন অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২০ সালে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে সাত মাসের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছিল দেবেন্দ্র শর্মা।