ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চাপে সনিয়া-রাহুল

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা (National Herald) সংক্রান্ত অর্থ পাচারের মামলায় (Money Laundering Case) ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বুধবার দিল্লির বিশেষ আদালতে সাম্প্রতিক শুনানিতে ইডি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সনিয়া ও রাহুল মিলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের ১৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ইডি-র দাবি, অপরাধমূলকভাবে সম্পত্তি অর্জন করে একইভাবে অর্থ পাচার করা হয়েছে। এটি কোনও একক ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করা হয়েছে বলে ইডি দাবি করেছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড ছাড়াও এর সহযোগী সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL)-এর বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। সিবিআই (CBI) তদন্ত মাঝপথে বন্ধ করে দিলেও ইডি তাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে এজেএল-এর ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, লখনউয়ে অবস্থিত ভবনগুলিতে নোটিশ লাগিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। ভাড়াটেদের এখন থেকে কেন্দ্রের কাছে ভাড়া দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি-র বক্তব্য অনুযায়ী, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের ধারা ৮, নিয়ম ৫(১) অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ইডি-র পক্ষ থেকে প্রসিকিউশন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় সোনিয়া, রাহুল ছাড়াও আরও কয়েকজন নেতার নাম চার্জশিটে রয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড কাণ্ডে বিদেশি তহবিলের ব্যবহার, সম্পত্তি লেনদেন নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তদন্ত চলছে। ইডি-র সাম্প্রতিক মন্তব্য এই মামলাকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চাপে সনিয়া-রাহুল

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা (National Herald) সংক্রান্ত অর্থ পাচারের মামলায় (Money Laundering Case) ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বুধবার দিল্লির বিশেষ আদালতে সাম্প্রতিক শুনানিতে ইডি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সনিয়া ও রাহুল মিলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের ১৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ইডি-র দাবি, অপরাধমূলকভাবে সম্পত্তি অর্জন করে একইভাবে অর্থ পাচার করা হয়েছে। এটি কোনও একক ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করা হয়েছে বলে ইডি দাবি করেছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড ছাড়াও এর সহযোগী সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL)-এর বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। সিবিআই (CBI) তদন্ত মাঝপথে বন্ধ করে দিলেও ইডি তাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে এজেএল-এর ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, লখনউয়ে অবস্থিত ভবনগুলিতে নোটিশ লাগিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। ভাড়াটেদের এখন থেকে কেন্দ্রের কাছে ভাড়া দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি-র বক্তব্য অনুযায়ী, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের ধারা ৮, নিয়ম ৫(১) অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ইডি-র পক্ষ থেকে প্রসিকিউশন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় সোনিয়া, রাহুল ছাড়াও আরও কয়েকজন নেতার নাম চার্জশিটে রয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড কাণ্ডে বিদেশি তহবিলের ব্যবহার, সম্পত্তি লেনদেন নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তদন্ত চলছে। ইডি-র সাম্প্রতিক মন্তব্য এই মামলাকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।