ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বোর্ড রাজি না হওয়ায় আগেই অবসর

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ৭ মে টেস্ট থেকে আচমকা অবসরের ঘোষণা দেন রোহিত শর্মা। কয়েকদিন পর রোহিতের দেখানো পথে হাঁটেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বিরাট কোহলিও। লাল বলের ক্রিকেট থেকে দুজনের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর থেকে তাঁদের সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথা ভেসে বেড়াচ্ছে।

এবার নতুন একটি খবর দিয়েছে ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টস। এক প্রতিবেদনে স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, এখনই অবসর নেওয়ার ইচ্ছে ছিল না রোহিতের। অবসরের ক্ষেত্রে সাবেক তারকা ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির পথে হাঁটার কথা ভাবছিলেন ৩৮ বছর বয়সী ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই অবসর নিয়েছিলেন অধিনায়ক ধোনি। শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল কোহলিকে। রোহিতও আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝপথে টেস্ট ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু রোহিতের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। উল্টো রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজে সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে খেলার প্রস্তাব দেয় বোর্ড। আর এ কারণে আগে ভাগেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিত- এমনটাই উঠে এসেছে স্টাই স্পোর্টসের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নির্বাচকেরা পুরো সিরিজে (স্কোয়াডের) ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। সে জন্য রোহিতকে পুরো সিরিজ খেলার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেটা অধিনায়ক হিসেবে নয়। রোহিত সে প্রস্তাব মেনে না দিয়ে অবসর নিয়ে নেন।’

রোহিতের অবসরের এক সপ্তাহের মধেই টেস্ট ছাড়ার ঘোষণা দেন কোহলিও। একই সময়ে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারে অবসর নির্বাচকদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। কীভাবে দুজনের শূন্যতা পূরণ করা যায়, সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচকদের।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রোহিতের উত্তরসূরি হিসেবে টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে এরইমধ্যে শুবমান গিল ও ঋষভ পন্তের সঙ্গে ‘অনানুষ্ঠানিক আলোচনা’ করেছে বিসিসিআই।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য চলতি সপ্তাহেই ২৩ সদস্যের দল ঘোষণার কথা বিসিসিআইয়ের। ভারতীয় অনেক সংবাদমাধ্যমে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে বুমরা ও গিলকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। বিসিসিআই এ প্রসঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

স্কাই স্পোর্টসের প্রতিবেদনে রোহিত পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘গিলকে অধিনায়ক করা নিয়ে বিসিসিআইয়ের একজন নির্বাচক সংশয় প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, এখনো একাদশে জায়গা নিশ্চিত নয় গিলের। সে কারণে তিনি গিলকে সহ-অধিনায়ক করার পক্ষে মত দিয়েছেন।’

ওদিকে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, জমজমাট আইপিএল জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র, যা গিলের মতো তরুণদের সর্বোচ্চ স্তরে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা দিচ্ছে।

ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সব দিক বিবেচনায় আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে গিলকেই ভারতের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে পারে। আর ঋষভ পন্থ হবেন সহ-অধিনায়ক।

যিনিই অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান না কেন, গিল-পন্ত-শ্রেয়াস আইয়ারদের মতো ভবিষ্যৎ অধিনায়কদের পরিপক্ব হতে কয়েক বছর লেগে যাবে বলে মনে করেন সুনীল গাভাস্কার। কিংবদন্তি এ সাবেক ক্রিকেটারের ভাষায়, ‘আমাদের সুপার ক্যাপ্টেনদের (ধোনি, রোহিত, কোহলি) পর্যায়ে যেতে ভবিষ্যতের অধিনায়কদের কয়েক বছর সময় লাগবে। তারা প্রত্যেকই নেতৃত্বে আলাদা আলাদা মাত্রা যোগ করেছেন।’

ভারতীয় এ কিংবদন্তি আরও বলেছেন, ‘গিল, আইয়ার ও পন্তের দিকে তাকালে দেখবেন, ওরা নেতৃত্বের দিকে থেকে ওই তিনজনের (ধোনি, রোহিত ও কোহলি) গুণাবলি পেয়েছে। গিল সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মানসিকতার। মাঠে কিছু ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে। ও সম্ভবত খেলায় যুক্ত থাকে বেশি।’

বাকি দুজন সম্পর্কে গাভাস্কারের মূল্যায়ন, ‘পন্তও উইকেটের পেছনে থেকে খুবই সক্রিয় থাকছে। আইয়ারও দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনজনই যেভাবে অধিনায়কত্ব সামলান, সেটা ইতিবাচক কিছুই নিয়ে আসছে। আর একজন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টির চাপ সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা দেয়। এটার চেয়ে ভালো প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র আর হতে পারে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

বোর্ড রাজি না হওয়ায় আগেই অবসর

আপডেট সময় : ০২:২০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

গত ৭ মে টেস্ট থেকে আচমকা অবসরের ঘোষণা দেন রোহিত শর্মা। কয়েকদিন পর রোহিতের দেখানো পথে হাঁটেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বিরাট কোহলিও। লাল বলের ক্রিকেট থেকে দুজনের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর থেকে তাঁদের সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথা ভেসে বেড়াচ্ছে।

এবার নতুন একটি খবর দিয়েছে ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টস। এক প্রতিবেদনে স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, এখনই অবসর নেওয়ার ইচ্ছে ছিল না রোহিতের। অবসরের ক্ষেত্রে সাবেক তারকা ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির পথে হাঁটার কথা ভাবছিলেন ৩৮ বছর বয়সী ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই অবসর নিয়েছিলেন অধিনায়ক ধোনি। শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল কোহলিকে। রোহিতও আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝপথে টেস্ট ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু রোহিতের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। উল্টো রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজে সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে খেলার প্রস্তাব দেয় বোর্ড। আর এ কারণে আগে ভাগেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিত- এমনটাই উঠে এসেছে স্টাই স্পোর্টসের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নির্বাচকেরা পুরো সিরিজে (স্কোয়াডের) ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। সে জন্য রোহিতকে পুরো সিরিজ খেলার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেটা অধিনায়ক হিসেবে নয়। রোহিত সে প্রস্তাব মেনে না দিয়ে অবসর নিয়ে নেন।’

রোহিতের অবসরের এক সপ্তাহের মধেই টেস্ট ছাড়ার ঘোষণা দেন কোহলিও। একই সময়ে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারে অবসর নির্বাচকদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। কীভাবে দুজনের শূন্যতা পূরণ করা যায়, সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচকদের।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রোহিতের উত্তরসূরি হিসেবে টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে এরইমধ্যে শুবমান গিল ও ঋষভ পন্তের সঙ্গে ‘অনানুষ্ঠানিক আলোচনা’ করেছে বিসিসিআই।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য চলতি সপ্তাহেই ২৩ সদস্যের দল ঘোষণার কথা বিসিসিআইয়ের। ভারতীয় অনেক সংবাদমাধ্যমে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে বুমরা ও গিলকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। বিসিসিআই এ প্রসঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

স্কাই স্পোর্টসের প্রতিবেদনে রোহিত পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘গিলকে অধিনায়ক করা নিয়ে বিসিসিআইয়ের একজন নির্বাচক সংশয় প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, এখনো একাদশে জায়গা নিশ্চিত নয় গিলের। সে কারণে তিনি গিলকে সহ-অধিনায়ক করার পক্ষে মত দিয়েছেন।’

ওদিকে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, জমজমাট আইপিএল জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র, যা গিলের মতো তরুণদের সর্বোচ্চ স্তরে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা দিচ্ছে।

ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সব দিক বিবেচনায় আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে গিলকেই ভারতের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে পারে। আর ঋষভ পন্থ হবেন সহ-অধিনায়ক।

যিনিই অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান না কেন, গিল-পন্ত-শ্রেয়াস আইয়ারদের মতো ভবিষ্যৎ অধিনায়কদের পরিপক্ব হতে কয়েক বছর লেগে যাবে বলে মনে করেন সুনীল গাভাস্কার। কিংবদন্তি এ সাবেক ক্রিকেটারের ভাষায়, ‘আমাদের সুপার ক্যাপ্টেনদের (ধোনি, রোহিত, কোহলি) পর্যায়ে যেতে ভবিষ্যতের অধিনায়কদের কয়েক বছর সময় লাগবে। তারা প্রত্যেকই নেতৃত্বে আলাদা আলাদা মাত্রা যোগ করেছেন।’

ভারতীয় এ কিংবদন্তি আরও বলেছেন, ‘গিল, আইয়ার ও পন্তের দিকে তাকালে দেখবেন, ওরা নেতৃত্বের দিকে থেকে ওই তিনজনের (ধোনি, রোহিত ও কোহলি) গুণাবলি পেয়েছে। গিল সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মানসিকতার। মাঠে কিছু ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে। ও সম্ভবত খেলায় যুক্ত থাকে বেশি।’

বাকি দুজন সম্পর্কে গাভাস্কারের মূল্যায়ন, ‘পন্তও উইকেটের পেছনে থেকে খুবই সক্রিয় থাকছে। আইয়ারও দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনজনই যেভাবে অধিনায়কত্ব সামলান, সেটা ইতিবাচক কিছুই নিয়ে আসছে। আর একজন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টির চাপ সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা দেয়। এটার চেয়ে ভালো প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র আর হতে পারে না।’