সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইইউ’র

- আপডেট সময় : ০৮:৫২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের পর সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সুযোগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, জাতিগত সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকার পতনের পাশাপাশি সিরিয়ায় আবারো শুরু হতে পারে গৃহযুদ্ধ।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ভাগ্য খুলে গেছে সিরিয়ার। গেলো সপ্তাহেই দামেস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ওয়াশিংটন। এক সপ্তাহের মাথায় একই পদক্ষেপ গ্রহণ করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার (২০ মে) সংবাদ সম্মেলনে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জানান, দেশটির স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রয়োজন ছিল। সিরীয় জনগণ আরো একটি সুযোগের দাবিদার। যদিও আসাদ সরকারের সদস্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞাগুলো বহাল থাকবে।
ইইউ এর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কাল্লাস বলেন, ‘অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আমরা সবাই একটি স্থিতিশীল সিরিয়া চাই। এখনো সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে আমার মনে হয় সিরিয়ার জনগণ ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি সুযোগের দাবিদার।’
অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, অন্ধকার দূর করে আলো আনবে বলে মনে করছেন সাধারণ সিরিয়রা। পাশাপাশি কূটনীতির সফলতার কারণে চলছে আল শারা প্রশাসনের বন্দনা।
সিরিয়ার স্থানীয় একজন বলেন, ‘ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা বিশ্বের যে দেশই হোক না কেনো, এমন সিদ্ধান্ত সিরীয় জনগণকে উপকৃত করবে।’
অন্য একজন বলেন, ‘সবার আগে আহমেদ আল শারাকে ধন্যবাদ। কারণ তিনি ও তার প্রতিনিধিদল এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রদূত ছিলেন।’
যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পতনের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কো রুবিও। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, জাতিগত সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আবারো শুরু হতে পারে গৃহযুদ্ধ। অন্যদিকে সিরিয়ায় জাতিগত নিধন চলছে বলে দাবি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘সিরিয়া থেকে যে তথ্য আসছে, তা উদ্বেগজনক। কারণ কট্টর সামরিক গোষ্ঠীগুলো সত্যিকারের জাতিগত নিধন পরিচালনা করছে। জাতীয়তা ও ধর্মের ভিত্তিতে চলছে গণহত্যা।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমাদের পর্যালোচনার ভিত্তিতে বলতে পারি, অন্তর্বর্তী সরকার যেসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, আগামী কয়েক মাস এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের পতন হতে পারে। এছাড়াও, শুরু হতে পারে গৃহযুদ্ধ।’
এদিকে দ্য নিউ আরবের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সিরিয়ান পাউন্ডের দর বেড়েছে ৩০ শতাংশ।