ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারকে দেয়া অনেক মতামত কার্যকর হচ্ছে না: নজরুল ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা একটি বড় না, এদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিভিন্ন সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন আলোচনায় আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি। কিন্তু অনেক কথাই কার্যকর হচ্ছে না। সমস্যা শুধু আমাদের না, সমস্যা সরকারেও হচ্ছে।

আজ (বুধবার, ২১ মে) ময়মনসিংহের টাউন হল মিলনায়তনে ময়মনসিংহ বিভাগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারে থেকে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করা অভিযোগ আমাদের ভালো লাগে না। কারণ আমরা সরকারটাকে পছন্দ করি। আমরা বিস্মিত হই, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল রায় দেওয়া পরও প্রশাসনিক ক্ষমতায় যিনি মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘যে নির্বাচন কমিশনকে এই সরকার, এই অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগ দিয়েছে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী; সেই নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করলে, তাদের হুমকি দেয়ার জন্য ঘেরাও করার কর্মসূচি দিচ্ছে। বিষয়গুলো ভালো দৃষ্টান্ত না।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যেকোনো সরকারের জন্য এটা কোনো মর্যাদার ব্যাপার না যে, আমরা জোর করে তার কাছ থেকে কোনো দাবি আদায় করে নেব। একজন মর্যাদাবান মানুষ বা একটা মর্যাদাবান প্রতিষ্ঠান তাই করে যেটা যুক্তিসঙ্গত, যেটা আইনসঙ্গত, যেটা ন্যায্য। কিন্তু যদি জোর করে সেটা আদায় করা হয়, তাহলে এটা অভিপ্রেরণা। এটা শুধু বিব্রতকর না, এটা খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।’

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আজকে আপনারা এখানে অনেক লোক উপস্থিত। আপনারা যদি জবরদস্তি করে আমার কাছ থেকে কিছু লিখিয়ে নিতে চান, নিতে পারবেন। এটা হবে খারাপ দৃষ্টান্ত। কিন্তু কালকে এর চেয়ে বেশি লোক একত্র হয়ে আপনার কাছ থেকে আরেকটা কাজ লিখিয়ে নিতে পারবে। এমন দৃষ্টান্ত রাষ্ট্রের জন্য সরকারের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত না।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি; যা কেবল জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব, স্থানীয় নির্বাচনে নয়।’

‘দলের বদনাম হয় এমন কাউকে সদস্য করা যাবে না। এমন কাউকে নেয়া যাবে না যাতে দলের শুভানুধ্যায়ীরা অসন্তুষ্ট হয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের মাধ্যমেই সেই লড়াইয়ে বিজয় হবে।’

এসময় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ওয়ারেস আলী মামুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারকে দেয়া অনেক মতামত কার্যকর হচ্ছে না: নজরুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৩:৫০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা একটি বড় না, এদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিভিন্ন সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন আলোচনায় আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি। কিন্তু অনেক কথাই কার্যকর হচ্ছে না। সমস্যা শুধু আমাদের না, সমস্যা সরকারেও হচ্ছে।

আজ (বুধবার, ২১ মে) ময়মনসিংহের টাউন হল মিলনায়তনে ময়মনসিংহ বিভাগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারে থেকে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করা অভিযোগ আমাদের ভালো লাগে না। কারণ আমরা সরকারটাকে পছন্দ করি। আমরা বিস্মিত হই, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল রায় দেওয়া পরও প্রশাসনিক ক্ষমতায় যিনি মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘যে নির্বাচন কমিশনকে এই সরকার, এই অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগ দিয়েছে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী; সেই নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করলে, তাদের হুমকি দেয়ার জন্য ঘেরাও করার কর্মসূচি দিচ্ছে। বিষয়গুলো ভালো দৃষ্টান্ত না।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যেকোনো সরকারের জন্য এটা কোনো মর্যাদার ব্যাপার না যে, আমরা জোর করে তার কাছ থেকে কোনো দাবি আদায় করে নেব। একজন মর্যাদাবান মানুষ বা একটা মর্যাদাবান প্রতিষ্ঠান তাই করে যেটা যুক্তিসঙ্গত, যেটা আইনসঙ্গত, যেটা ন্যায্য। কিন্তু যদি জোর করে সেটা আদায় করা হয়, তাহলে এটা অভিপ্রেরণা। এটা শুধু বিব্রতকর না, এটা খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।’

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আজকে আপনারা এখানে অনেক লোক উপস্থিত। আপনারা যদি জবরদস্তি করে আমার কাছ থেকে কিছু লিখিয়ে নিতে চান, নিতে পারবেন। এটা হবে খারাপ দৃষ্টান্ত। কিন্তু কালকে এর চেয়ে বেশি লোক একত্র হয়ে আপনার কাছ থেকে আরেকটা কাজ লিখিয়ে নিতে পারবে। এমন দৃষ্টান্ত রাষ্ট্রের জন্য সরকারের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত না।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি; যা কেবল জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব, স্থানীয় নির্বাচনে নয়।’

‘দলের বদনাম হয় এমন কাউকে সদস্য করা যাবে না। এমন কাউকে নেয়া যাবে না যাতে দলের শুভানুধ্যায়ীরা অসন্তুষ্ট হয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের মাধ্যমেই সেই লড়াইয়ে বিজয় হবে।’

এসময় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ওয়ারেস আলী মামুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।