আইসিসির সহযোগী দেশের কাছে দ্বিতীয়বার সিরিজ হার বাংলাদেশের

- আপডেট সময় : ০১:০৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ নিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির সহযোগী দেশের কাছে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ।
দিশেহারা ব্যাটিং আর লাইন ছাড়া বোলিং এবং বরাবরের মতো বাংলাদেশে ক্রিকেট টিমের চিরন্তন সঙ্গী স্নায়ুচাপ! হঠাৎ করে খেলা দেখতে বসলে মনে হতে পারে বাংলাদেশ খেলছে সেরা সময়ের মাইটি অস্ট্রেলিয়ার সাথে। যেন নামের ভারেই খেই হারিয়ে ফেলছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে একটু ভালো করে দেখলেই ভুল ভাঙবে আর চক্ষু হবে চড়কগাছ! আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের ১৫ নম্বর দলের সাথে নয় নম্বর দলের এমন বেহাল দশা বিশ্বাস করা কঠিন! অথচ প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত যারা কি না এখনও আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ পায়নি।
টস ভাগ্যে সিরিজের শেষ ম্যাচেও হারের চক্র থেকে বের হতে পারেননি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ব্যাট করতে নেমে পারভেজ ইমন ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক মেরে। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেই যেন তার দায়িত্ব শেষ। আর টস ভাগ্যে হারের বৃত্তে থাকা লিটন ব্যাট হাতে যেন অবসরের আগেই লিখতে বসে গেছেন ব্যর্থতার ইতিহাস।
১০ বলে ১৪ রান করে লিটন ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতে অধিনায়কের পথ অনুসরণ করেছেন তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদীরা। আর তাতেই পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই চার উইকেটে নেই বাংলাদেশের। যেখানে তানজিদ তামিমের ১৮ বলে ৪০ রান শুধুই যেন সান্ত্বনা।
দায়িত্বহীন শট খেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন শামীম-রিশাদরাও। ম্যাচের প্রেডিকশনে তখন ১০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কা। তবে উইকেটে অনেকটা যুদ্ধ করে দলের মান বাঁচিয়েছে জাকের আলীর ৪১ রানের ইনিংস। আর শেষ দিকে হাসান-শরিফুলরা এলোপাথাড়ি ব্যাট চালালে ১৬২ রান করে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর আশা হয়ত তখনও উকি দিচ্ছিল লিটন দাসদের ড্রেসিংরুমে। তবে বিধি ক্রিকেট বিধাতাও যেন বাংলাদেশের খেলা দেখে বিরক্ত ছিলেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেছে আরব আমিরাত। আগের ম্যাচের নায়ক অধিনায়ক ওয়াসিম আউট হলেও আলিশান শারাফু ব্যাট হাতে আগ্রাসন দেখিয়েছেন। তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। আমিরাতের ব্যাটারদের একেকটি শটে যেন লেখা হচ্ছিলো বাংলাদেশের লজ্জার ইতিহাস। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটের পরাজয়ে সেই ইতিহাসের সাক্ষী বাংলাদেশ। যাদের বলা হয়ে থাকে টিম টাইগার!