ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এপিজে আবদুল কালামের জীবন এবার বড়পর্দায়

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam)। ভারতের সেই প্রিয় রাষ্ট্রপতির জীবন এবার আসতে চলেছে বড়পর্দায়। ঘোষণা করা হয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের বায়োপিক, ‘কালাম’। এই ছবিতে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ধনুষকে। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঘোষণা করা হয়েছে এই ছবির। সিনেমার পরিচালনা করছেন ওম রাউত। ছবি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন অভিষেক আগরওয়াল।

রামেশ্বরম থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সফরের কথাই এবার ফুটে উঠবে পর্দায়। এপিজে আবদুল কালামকে কখনও বলা হত, ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’। বিজ্ঞানে অগাধ জ্ঞান ছিল এই মানুষটির। সেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বলা হত ‘পিপলস প্রেসিডেন্ট’ বা ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’। মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যেতে পারতেন কালাম। একেবারে তাঁদেরই একজন হয়ে তিনি জেনে নিতে পারতেন প্রত্যেকের সুবিধা অসুবিধা। বাচ্চাদের অসম্ভব ভালবাসতেন আবদুল কালাম। ভালবাসতেন বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে। তাঁর জীবনের শেষ দিনটিও কেটেছিল শিশু পরিবৃত হয়েই। একটি স্কুলে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন কালাম। মঞ্চে বক্তৃতা রাখতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপরেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।

এই ছবিটি নিয়ে পরিচালক ওম রাউত বলেছেন, ‘কালাম এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক স্বার্থের ওপরে উঠতে পেরেছিলেন। কালাম এমন একজন মানুষ যিনি শিক্ষার ক্ষমতাকে বুঝেছিলেন। তিনি নতুন কিছু উদ্ভাবনের ওপর বিশ্বাস করতেন। এমন একজন মানুষের গল্প পর্দায় নিয়ে আসা শিল্পী হিসেবে খুব বড় চ্যালেঞ্জের। সেই সঙ্গে সঙ্গে একটা নৈতিক ও সাংস্কৃতিক দায়িত্ব ও বর্তায়। এই ধরণের মানুষের গল্প পর্দায় নিয়ে আসলে গোটা ভারতের যুবসমাজই উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমার ধারণা। আমার জীবনের একটা অন্যতম বড় অভিজ্ঞতা হতে চলেছে এই ছবিটা। ওঁর জীবনের শিক্ষাই ছিল মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা তা সে যেই হোক না কেন, যেখান থেকেই আসুক না কেন।’

এই ছবিটির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা কবে আবদুল কালামের বিভিন্ন সত্ত্বাকে। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রপতি নন, একজন কবি, একজন শিক্ষক ও এমন একজন মানুষ যে স্বপ্ন দেখতে পারে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের থেকেও অনেক অনেক আকর্ষণীয় তাঁর ভাবধারা, তাঁর শিক্ষাজীবন। ভারতরত্ন পুরষ্কার পেয়েছিলেন আবদুল কালাম। ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এপিজে আবদুল কালামের জীবন এবার বড়পর্দায়

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

ভারতের সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam)। ভারতের সেই প্রিয় রাষ্ট্রপতির জীবন এবার আসতে চলেছে বড়পর্দায়। ঘোষণা করা হয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের বায়োপিক, ‘কালাম’। এই ছবিতে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ধনুষকে। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঘোষণা করা হয়েছে এই ছবির। সিনেমার পরিচালনা করছেন ওম রাউত। ছবি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন অভিষেক আগরওয়াল।

রামেশ্বরম থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সফরের কথাই এবার ফুটে উঠবে পর্দায়। এপিজে আবদুল কালামকে কখনও বলা হত, ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’। বিজ্ঞানে অগাধ জ্ঞান ছিল এই মানুষটির। সেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বলা হত ‘পিপলস প্রেসিডেন্ট’ বা ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’। মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যেতে পারতেন কালাম। একেবারে তাঁদেরই একজন হয়ে তিনি জেনে নিতে পারতেন প্রত্যেকের সুবিধা অসুবিধা। বাচ্চাদের অসম্ভব ভালবাসতেন আবদুল কালাম। ভালবাসতেন বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে। তাঁর জীবনের শেষ দিনটিও কেটেছিল শিশু পরিবৃত হয়েই। একটি স্কুলে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন কালাম। মঞ্চে বক্তৃতা রাখতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপরেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।

এই ছবিটি নিয়ে পরিচালক ওম রাউত বলেছেন, ‘কালাম এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক স্বার্থের ওপরে উঠতে পেরেছিলেন। কালাম এমন একজন মানুষ যিনি শিক্ষার ক্ষমতাকে বুঝেছিলেন। তিনি নতুন কিছু উদ্ভাবনের ওপর বিশ্বাস করতেন। এমন একজন মানুষের গল্প পর্দায় নিয়ে আসা শিল্পী হিসেবে খুব বড় চ্যালেঞ্জের। সেই সঙ্গে সঙ্গে একটা নৈতিক ও সাংস্কৃতিক দায়িত্ব ও বর্তায়। এই ধরণের মানুষের গল্প পর্দায় নিয়ে আসলে গোটা ভারতের যুবসমাজই উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমার ধারণা। আমার জীবনের একটা অন্যতম বড় অভিজ্ঞতা হতে চলেছে এই ছবিটা। ওঁর জীবনের শিক্ষাই ছিল মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা তা সে যেই হোক না কেন, যেখান থেকেই আসুক না কেন।’

এই ছবিটির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা কবে আবদুল কালামের বিভিন্ন সত্ত্বাকে। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রপতি নন, একজন কবি, একজন শিক্ষক ও এমন একজন মানুষ যে স্বপ্ন দেখতে পারে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের থেকেও অনেক অনেক আকর্ষণীয় তাঁর ভাবধারা, তাঁর শিক্ষাজীবন। ভারতরত্ন পুরষ্কার পেয়েছিলেন আবদুল কালাম। ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন তিনি।