ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ)। এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বন্যার পানিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আজ শুক্রবার প্রদেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ পরিস্থিতিকে এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, ভারী বৃষ্টি দক্ষিণে সরে গিয়ে সিডনি এবং নিউক্যাসলকে প্রভাবিত করছে। আবহাওয়া ব্যুরো সতর্কতা জারি করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ শুক্রবার সকালে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এনএসডব্লিউ স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস (এসইএস) জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫৩৫টিরও বেশি উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৭০টিরও বেশি তৎপরতা চালানো হয়েছে।
বিবিসি লিখেছে, ১৫০টিরও বেশি বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪০টি জরুরি পর্যায়ে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জনগণকে গাড়ি চালানো বা বন্যার পানিতে না যাওয়ার জন্য আগের পরামর্শ পুনরায় জারি করেছে।
বন্যার কারণে ১০০টিরও বেশি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যায় বাস্তুচ্যুতদের রাখার জন্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এ ছাড়া মধ্য উত্তর উপকূলের শহর তারি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার এলাকার একটি প্রধান নদীতে পানিপ্রবাহ ৬.৩ মিটার ছাড়িয়ে গেছে, যা প্রায় শতাব্দীর পুরোনো সর্বোচ্চ স্তরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
শুক্রবার ভোরে কফস হারবারের কাছে বন্যার পানিতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পর ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ বন্যার কারণে চতুর্থ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে, বুধবার বিকেলে তারির কাছে মোটোর একটি জায়গা থেকে ৬৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
নিউ সাউথ ওয়েলসের জরুরি পরিষেবা মন্ত্রী জিহাদ ডিব বলেছেন, সরকার উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মধ্য ও উত্তর উপকূলে আগের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত এবং বন্যা দেখছি আমরা।