ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জুলাই মাসের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে জাতীয় সনদ: আলী রীয়াজ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই মাসের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে জাতীয় সনদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আর চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে ২য় পর্যায়ের আলোচনা। এদিকে বিএনপির দাবি, সনদ তৈরি করে ১ মাসের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা সম্ভব।

৩ মাস ধরে পর্যালোচনা শেষে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা পর্ব শেষ হয়েছে ঠিকই। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে এখনও রয়ে গেছে দ্বিমত।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার কাঠামো কেমন হবে? নির্বাচন প্রক্রিয়া কি পুরনো ধারায় চলবে, নাকি হবে নতুন সংযোজন? আগে স্থানীয় না জাতীয় নির্বাচন? এমন সব প্রশ্নের মীমাংসা করাই হবে ২য় পর্যায়ের উদ্দেশ্য।

জাতীয় নাগরিক পার্টির চাওয়া আসনের অনুপাতে নয় উচ্চকক্ষ যেন হয় ভোটের অনুপাতে। সেইসাথে জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ চায় দলটি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘দলীয় এজেন্ডার বাইরে এসে জাতীয় এজেন্ডা বুঝতে পারা, যে আমাদের এখানে দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হবে না। বা উচ্চকক্ষ যে ভোটের অনুপাতে হবে বা সংবিধান সংশোধনী শুধু সরকারি দল করতে পারবে না। এ জিনিসগুলো জনগণ চায়। ঈদের পর জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ টা হয়ে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলছেন ভিন্নমত গুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হতে পারে গণভোটের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘যেগুলো আমরা একমত হয়েছি সেগুলো তো হয়েই গেলে। আর যেগুলোতে ডিফারেন্স আছে সব ডিফারেন্সকে একসাথে করে এটার ওপর একটা গণভোট করার জন্য। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো সব বিষয়ে একমত হতে পারছে না তাহলে জনগণ এটার সিদ্ধান্ত নিক। গণভোট হচ্ছে সকল মানুষের প্রপার্টি। সুতরাং গণভোটে যদি অধিকাংশ মানুষ এটা গ্রহণ করে তাহলে সেখানো কোনো দলেরই আপত্তি করার সুযোগ থাকবে না।’

আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, জাতীয় সনদ করে ১ মাসের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ দেয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘এখন কথা হচ্ছে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তো, সেগুলো তাহলে পাবলিশ হচ্ছে না কেন কোথায় আমরা ঐক্যমত হয়েছি। এটা পাবলিক করলে সবাই জানলো কোথায় ঐক্যমত হয়েছে কোথায় হয় নি। যেখানে ঐক্যমত হয়েছে সেখানে এক মাসের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব। সনদ সই করে নির্বাচনের তারিখ এক মাসের মধ্যে দেয়া সম্ভব। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হতে পারে।’

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে কাজ। জুলাই মাসেই প্রকাশ হবে জাতীয় সনদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল আমরা যেন জুলাই মাসের মধ্যে সনদ তৈরি করতে পারি। সে কারণে আমরা যতটা দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করেছি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন দুই মাস ধরে আমরা ৩৩টা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। ৬ মাসে আমাদের যতটুকু অগ্রগতি করার কথা ছিল আমরা প্রায় কাছাকাছি এসেছি। সেদিক থেকে আমরা আশা করি সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা পাওয়া গেলে জুলাই মাসের মধ্যে আমরা একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারবো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই মাসের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে জাতীয় সনদ: আলী রীয়াজ

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

জুলাই মাসের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে জাতীয় সনদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আর চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে ২য় পর্যায়ের আলোচনা। এদিকে বিএনপির দাবি, সনদ তৈরি করে ১ মাসের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা সম্ভব।

৩ মাস ধরে পর্যালোচনা শেষে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা পর্ব শেষ হয়েছে ঠিকই। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে এখনও রয়ে গেছে দ্বিমত।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার কাঠামো কেমন হবে? নির্বাচন প্রক্রিয়া কি পুরনো ধারায় চলবে, নাকি হবে নতুন সংযোজন? আগে স্থানীয় না জাতীয় নির্বাচন? এমন সব প্রশ্নের মীমাংসা করাই হবে ২য় পর্যায়ের উদ্দেশ্য।

জাতীয় নাগরিক পার্টির চাওয়া আসনের অনুপাতে নয় উচ্চকক্ষ যেন হয় ভোটের অনুপাতে। সেইসাথে জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ চায় দলটি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘দলীয় এজেন্ডার বাইরে এসে জাতীয় এজেন্ডা বুঝতে পারা, যে আমাদের এখানে দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হবে না। বা উচ্চকক্ষ যে ভোটের অনুপাতে হবে বা সংবিধান সংশোধনী শুধু সরকারি দল করতে পারবে না। এ জিনিসগুলো জনগণ চায়। ঈদের পর জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ টা হয়ে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলছেন ভিন্নমত গুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হতে পারে গণভোটের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘যেগুলো আমরা একমত হয়েছি সেগুলো তো হয়েই গেলে। আর যেগুলোতে ডিফারেন্স আছে সব ডিফারেন্সকে একসাথে করে এটার ওপর একটা গণভোট করার জন্য। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো সব বিষয়ে একমত হতে পারছে না তাহলে জনগণ এটার সিদ্ধান্ত নিক। গণভোট হচ্ছে সকল মানুষের প্রপার্টি। সুতরাং গণভোটে যদি অধিকাংশ মানুষ এটা গ্রহণ করে তাহলে সেখানো কোনো দলেরই আপত্তি করার সুযোগ থাকবে না।’

আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, জাতীয় সনদ করে ১ মাসের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ দেয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘এখন কথা হচ্ছে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তো, সেগুলো তাহলে পাবলিশ হচ্ছে না কেন কোথায় আমরা ঐক্যমত হয়েছি। এটা পাবলিক করলে সবাই জানলো কোথায় ঐক্যমত হয়েছে কোথায় হয় নি। যেখানে ঐক্যমত হয়েছে সেখানে এক মাসের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব। সনদ সই করে নির্বাচনের তারিখ এক মাসের মধ্যে দেয়া সম্ভব। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হতে পারে।’

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে কাজ। জুলাই মাসেই প্রকাশ হবে জাতীয় সনদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল আমরা যেন জুলাই মাসের মধ্যে সনদ তৈরি করতে পারি। সে কারণে আমরা যতটা দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করেছি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন দুই মাস ধরে আমরা ৩৩টা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। ৬ মাসে আমাদের যতটুকু অগ্রগতি করার কথা ছিল আমরা প্রায় কাছাকাছি এসেছি। সেদিক থেকে আমরা আশা করি সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা পাওয়া গেলে জুলাই মাসের মধ্যে আমরা একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারবো।’